শ্রীদেবীর দেহ আটকে গুজব চরমে, বনি-কে জিজ্ঞাসাবাদের দাবি ওড়াল দুবাই পুলিশ
শ্রীদেবীর মৃত্যু নিয়ে যত না সত্য কথা সামনে আসছে তার থেকে বেশি ছড়াচ্ছে গুজব। আর এর জন্য ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের একাংশের দিকে আঙুল তুলেছে দুবাই পুলিশ। প্রকাশ্যে সরকারিভাবে কিছু না জানালেও দুবাই পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে এই ঘটনায় অযথা গুজব ছড়ানো হচ্ছে।

[আরও পড়ুন:শ্রীদেবী মারা যাওয়ার পরই মাঝরাতে ভারতে কাকে ফোন করেন বনি কাপুর! সামনে এল নতুন তথ্য]
দুবাই পুলিশ এও জানিয়েছে, বনি কাপুরকে ১৮ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদের যে তত্ব খাড়া করা হয়েছে তা ভিত্তিহীন। পুলিশের সঙ্গে বনি কাপুরের প্রথম কথা হয়েছিল রবিবার সকালে। সেদিন বনি কাপুরের বক্তব্য রেকর্ড করেছিল দুবাই পুলিশ। শনিবার রাতে হোটেলের ঘরে শ্রীদেবীর মৃত্যুর সময়কার পরিস্থিতি আঁচ করতেই বনি কাপুরের বক্তব্য নেওয়া হয়। তদন্তে এটা স্বাভাবিক এবং পদ্ধতি বলেই জানিয়েছে দুবাই পুলিশ। কিন্তু, সোমবার দিনে বা রাতে একবারের জন্য বনি কাপুরকে জিঞ্জাসাবাদ করা হয়নি বলে দাবি করা হয়েছে দুবাই পুলিশ সূত্রে। ভারতের বেশকিছু সংবাদমাধ্যম ফলাও করে বনি কাপুরকে জিজ্ঞাসাবাদের দাবি শুধু করেনি সেই সঙ্গে অনেকে পয়েন্ট ধরে ধরে এও বলে দিয়েছে কী কী ধরনের প্রশ্ন করা হয়েছে।

[আরও পড়ুন:Live- এমবাল্মিং প্রক্রিয়া শেষ, শ্রীদেবীর দেহ নিয়ে দুবাই বিমান বন্দরের পথে কনভয়]
দুবাই পুলিশের মতে, শ্রীদেবীর মতো একজন আন্তর্জাতিক সেলিব্রিটির মৃত্যুতে এমন দায়িত্ব জ্ঞানহীন সংবাদ পরিবেশন অত্যন্ত লজ্জাজনক। শ্রীদেবীর দেহ যাতে দ্রুত দেশে ফেরানো সম্ভব হয় তার জন্য সমানে ইউএই সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ভারতীয় কনস্যুলেটকেও এই ব্য়াপারে অবগত রাখা হচ্ছে। কিন্তু, ইউএই-র এমন কিছু নিয়ম আছে যা সকলের জন্যই সমান। সেলিব্রিটি তকমার জন্য তাকে এই নিয়ম থেকে ছাড় দেওয়া হবে এমন কোনও বিষয় এখানে ভাবা হয় না।
হাসপাতালের বাইরে কারোর মৃত্যু হলে তাতে সরকারি সমস্ত পদ্ধতি অনুসরণ করা বাধ্যতামূলক। এই কাজে প্রথমে ফরেনসিক ডিপার্টমেন্ট রিপোর্ট দেবে পুলিশকে। পুলিশ সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেবে ও রিপোর্ট এবং তাদের সুপারিশ প্রসিকিউশন ডিপার্টমেন্টকে পাঠাবে। এরপর পাবলিক প্রসিকিউটর সিদ্ধান্ত নিয়ে তা পাঠাবেন এজি-তে। এজি-র চিঠি এলে দেহ ছাড়বে হাসপাতাল এবং তা 'এমবাল্মিং' প্রক্রিয়ার জন্য পাঠানো হবে। শ্রীদেবীর ক্ষেত্রেও এই নিয়ম অনুসরণ করা হচ্ছে। কিন্তু, এতে যেহেতু 'অ্যাক্সিডেন্টাল ড্রাউনিং' শব্দটি লেখা হয়েছে তাই আরও কিছু নিয়ম-কানুন অনুসরণ করতে হচ্ছে। তবে, এই সমস্ত বিষয়টি নির্ভর করছে পাবলিক প্রসিকিউটারের উপরে।
গতকাল পাবলিক প্রসিকিউটরের দফতরে যখন দুবাই পুলিশের রিপোর্ট ও সুপারিশ পৌঁছয় তখন স্থানীয় সময় ৭টা পেরিয়ে গিয়েছে। পাবলিক প্রসিকিউটর সন্ধ্যা ৭টার পরে অফিসে থাকেন না। তাই মঙ্গলবার সকালে এই নিয়ে পাবলিক প্রসিকিউটারের সিদ্ধান্ত এজি-র মাধ্যমে জানা যাবে। এরপরই বোঝা যাবে শ্রীদেবীর দেহ দেশে ফিরতে আর কতটা সময় লাগবে।
[আরও পড়ুন:শ্রীদেবীর মৃত্যুতে দাউদ যোগ! সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর মন্তব্যে চাঞ্চল্য]