শুষ্ক এবং উষ্ণ আবহাওয়াই করোনার যম, বলছেন আইআইটি-বম্বের গবেষকরা
গরম এবং শুষ্ক আবহাওয়ায় বেশিক্ষণ বেঁচে থাকতে পারে না করোনা ভাইরাস। এমনই দাবি করেছে আইআইটি বম্বের গবেষকরা। একটি কম্পিউটারের উপর করোনা ভাইরাস রেখে পরীক্ষা চালিয়ে তাঁরা এই সত্যিটা আবিস্কার করেছে। আইআইটি বম্বের গবেষকদের দাবি এর থেকে সুরক্ষা বিধি নিয়ে নতুন দিশা তৈরি হবে।
আইআইটি বম্বের দাবি
আইআইটি বম্বের গবেষকরা পরীক্ষা করে দেখেছেন গরম এবং শুষ্ক পরিবেশে বেশিক্ষণ বেঁচে থাকতে পারে না করোনা ভাইরাস বা কোভিড-১৯। করোনা আক্রান্ত রোগীর কাশি এবং থুতুতে কতক্ষণ করোনা ভাইরাস বেঁচে থাকতে পারে তা নিয়ে একটি বিজ্ঞান পত্রিকায় গবেষণা পত্র বের করে তারা। সেই জার্নালেই করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব নিয়ে এমন দাবি করেছেন আইআইটি বম্বের গবেষকরা।
কীভাবে পরীক্ষা
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে করোনা আক্রান্ত রোগীদের ড্রপলেট সংগ্রহ করেছিলেন তাঁরা। বিশ্বের ৬টি দেশের মধ্যে নিউইয়র্ক এবং থাইল্যান্ডের নমুনাও ছিল। করোনা ভাইরাসের এই ড্রপলেটগুলির আকার মানুষের একটি সূক্ষ্ম চুলেরও থেকে সরু এবং সূক্ষ্ম। যাকে খালি চোখে প্রায় দেখাই যায় না। সেগুলি আক্রান্ত রোগীর মুখ নাক এবং কাশির সঙ্গে বেরিয়ে আসে। সেগুলি বিভিন্ন তাপমাত্রা এবং আবহাওয়ার মধ্যে রেখে গবেষণা চালান বিজ্ঞানীরা।
গরমে বাঁচে না করোনাভাইরাস
এই নমুনা ড্রপলেটগুলি আবহাওয়ার পরিবর্তন অনুযায়ী বিস্তারলাভ করে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। আইআইটি বম্বের দুই গবেষক রজনীশ ভরদ্বাজ এবং অমিত আগরওয়ালের নেতৃত্বে চলা এই গবেষণায় দেখা গিয়েছে করোনা ভাইরাস আর্দ্র আবহাওয়ায় বেশি বিস্তারলাভ করে। কিন্তু গরম এবং শুষ্ক আবহাওয়ায় তেমন ভাবে কাজ করতে পারে না বা বলা ভাল বেঁচে থাকতে পারে না।
পশ্চিমের দেশে সংক্রমণ বেশি
এই আর্দ্র আবহাওয়ার কারণেই পশ্চিমের দেশ গুলিতে করোনা ভাইরাস দ্রুত বিস্তারলাভ করেছে। সেকারণেই আমেরিকা, ইউরোপের দেশ গুলি ভীষণভাবে করোনায় বিধ্বস্ত হয়েছে। অপেক্ষাকৃত কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পূর্বের দেশগুলি।
রাতারাতি গোলাপী হয়ে গেল হ্রদের জল, ঘুম ছুটেছে বিজ্ঞানীদের, দেশে ঘটতে চলেছে কোন অঘটন