নয়াদিল্লি : মদ্যপ অবস্থায় দেওয়ালে মাথা থেঁতলে স্ত্রীকে খুন করে মৃতদেহর সঙ্গে যৌনমিলন স্বামীর!
নয়াদিল্লি, ৫ জুন : মদের নেশায় বাড়ির মধ্যে মুগুর দিয়ে পিটিয়ে দেওয়ালে মাথা থেঁতলে স্ত্রীকে খুল করল দিল্লির বছর পঁচিশের এক যুবক। শুধু তাই নয়, স্ত্রীর মৃতদেহের সঙ্গে যৌনমিলনের পর তার পাশে শুয়েই ঘুমলো ওই যুবক। এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির নিহাল বিহার এলাকায়। [উত্তরপ্রদেশ : চলন্ত গাড়িতে যৌন মিলন, প্রাণ গেল যুবকের, মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই প্রেমিকার]
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তর নাম প্রদীপ শর্মা। পেশায় রিক্সা চালক। শুক্রবার সকালে প্রতাপকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশের জেরায় প্রতাপ স্বীকার করে মদের নেশায় সে নিজেই স্ত্রী মণিকাকে খুন করে। গত ৩০ মে এই ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। নিত্যদিনই টাকা নিয়ে দম্পতির মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকত। তাছাড়া মণিকার অন্য কারোর সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে বলেও সন্দেহ করত সে। [যৌনকর্মীর সঙ্গে যৌন মিলনের সময়ে মৃত বৃদ্ধ, দেহ আটকে একে অপরের সঙ্গে]
বাড়িভাড়া দেরি করে দেওয়া নিয়ে ৩০ মে বাড়িতে নোটিশ আসে। সেদিন প্রতাপ আকন্ঠ মদ্যপ অবস্থায় ছিল। নোটিশ নিয়ে দুজনের মধ্যে বচসা বাধে। প্রতাপ প্রথমে ইঁট দিয়ে মণিকার মুখ থেঁতলে দেয়, তারপর দেওয়ালে বারবার মণিকার মাথা ঠুকে ঠুকে তাকে মেরে ফেলে। মণিকা মরে গেলে তাঁর রক্তাক্ত চেহারা ভেজা কাপড় দিয়ে পরিস্কার করে প্রতাপ। তারপর স্ত্রীর মৃতদেহর সঙ্গে যৌনমিলনে আবদ্ধ হয় সে। তারপর স্ত্রীর মৃতদেহর পাশেই ঘুমিয়ে পরে সে। [বাছুরের সঙ্গে যৌন সংসর্গ করে এইমসে ভর্তি যুবক]
পুলিশ জানিয়েছে, সকালবেলা ঘুম থেকে ওঠার পর প্রতাপ বুঝতে পারে যে সে স্ত্রীকে খুন করেছে। এরপরই নিজেকে বাঁচাতে সে নিজের মোবাইল ফোন লুকিয়ে ফেলে, অন্যান্য সমস্ত তথ্য প্রমাণও নষ্ট করার চেষ্টা করে। বাড়ির মালিক খুনের বিষয়ে পুলিশকে খবর দেয়। [সিনেমাহলে যৌনাচার: হলের অন্ধকারে ২৮ জোড়া 'নগ্ন' তরুণ-তরুণীকে আটক করল পুলিশ!]
যদিও গোপন সূত্রে খবর পেয়ে দুদিন পরে নাংলোই রেলস্টেশন থেকে পুলিশ প্রতাপকে গ্রেফতার করে।