বিয়ের মণ্ডপে মাতলামি! তারপর যা অবস্থা হল বরের
বিয়ের মণ্ডপে টলতে টলতে ঢুকেছিল বর। যার জেরে সঙ্গে সঙ্গে খারিজ করে দেওয়া হয় বরকে।
বিয়ের মণ্ডপে টলতে টলতে ঢুকেছিল বর। যার জেরে সঙ্গে সঙ্গে খারিজ করে দেওয়া হয় বরকে। খারিজ করে দেয় বছর কুড়ির পাত্রী। ঘটনাটি বিহারের ছাপড়া জেলার তরৈয়া থানার ডুমরি ছাপিয়া গ্রামের। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুধু বরই নয়, বরযাত্রীদের অনেকেই মদ্যপ অবস্থায় ছিল। এনিয়ে এলাকায় উত্তেজনাও দেখা দেয়।
বিহারের ছাপড়া। মেয়ে রিঙ্কি কুমারির বিয়ে ঠিক করেছেন বাবা। পাত্র শিবপূজ শাহের ছেলে বাবলু কুমার। এখন পর্যন্ত সব কিছু ঠিকই ছিল। কিন্তু বিয়ের সন্ধেতেই যত গণ্ডগোল। গাড়ি থেকে নামার সময় বাবলু কুমার মাটিতে ঠিকভাবে পা ফেলতে পারছিলেন না। যা দেখে সন্দেহ হয় পাত্রীর পরিবারের সদস্যদের। একটু খোঁজখবর করতেই বিষয়টি সামনে আসে। দেখা যায় শুধু বরই নয়, দলের অনেকেই মদ্যপ অবস্থায় রয়েছে। পাত্রীর পরিবারের সদস্য ও বন্ধুরা প্রতিবাদ করায় গণ্ডগোল শুরু হয়ে যায়।
[আরও পড়ুন: শিয়ালদহ ব্রিজে মর্মান্তিক মৃত্যু বাবা-মেয়ের! আশঙ্কাজনক মা ভর্তি হাসপাতালে]
পরে অবশ্য পাত্র বাবলু কুমার ও সঙ্গে আসা মদ্যপদের বিরুদ্ধে আসরে নামেন পাত্রীর পরিবারের সদস্যরা। পরের দিন সকাল পর্যন্ত আটকে রাখা হয় প্রত্যেককে। এছাড়াও পাত্রীর বাড়ি থেকে যেসব জিনিস দেওয়া হয়েছিল তাও ফেরত নেওয়া হয়। সবশেষে পাত্র-সহ বরযাত্রীদের জামাকাপড় কুলে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
২০১৬ সাল থেকে বিহারে মদ নিষিদ্ধ। কিন্তু সরকারি নির্দেশিকা না মানায় গত বছরের অক্টোবর পর্যন্ত প্রায় ১.৬ লক্ষ লোককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন;কলকাতার রাজপথে আক্রান্ত অধ্যাপক! মারধর স্ত্রী ও বৃদ্ধা মাকেও]
কিন্তু বিয়ে ভেঙে যাবে, যা নিয়ে দ্বিধায় ছিলেন পাত্রীর বাড়ির সদস্যরা। এরই মধ্যে রিঙ্কি কুমারি জানিয়ে দেয় সে এই মদ্যপকে বিয়ে করবে না। বাড়ির লোকেরা তাকে বোঝানোর চেষ্টা করে। কিন্তু সব চেষ্টা বৃথা যায়।