করোনা লকডাউনেও চলছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে গরু ও মাদক পাচার
দেশে গত ২১ দিন ধরে চলছে লকডাউন। তবে সেই সময়কালে ক্রমেই দেশে আরও বিস্তার ঘটেছে করোনা সংক্রমণের। এরই মাঝে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী মোদী ঘোষণা করেন যে দেশে করোনা সংক্রমণ রুখতে এই লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে আগামী ৩ মে পর্যন্ত। এই পরিস্থিতিতে সম্পূর্ণ ভাবে লকডাউন মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী সবাইকে বাড়িতেই থাতে বলেন।
তবে এই লকডাউনের মধ্যেও বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের বর্ডার অতিক্রম করে রমরমিয়ে চলছে মাদক, গরু ও নকল নোটের পাচারের কারবার। সম্প্রতি বিএসএফ-এর প্রকাশিত এক রিপোর্টেই এই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে। সেখানে দেখা যাচ্ছে ২৫ মার্চ থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত পাচারের ঘটনা আগের মাসের তুলনায় কমলেও তা জারি রয়েছে।
পাকিস্তানের সংলগ্ন পাঞ্জাব বর্ডার থেকে ১৮ কিলো মাদক উদ্ধার করেছে বিএসএফ। এদিকে বাংলাদেশ সীমান্তে এই সময়কালে ৩২৮টি গরু উদ্ধার করেছে বিএসএফ। এছাড়া ফেনসিডিল সহ প্রচুর মাদক উদ্ধার হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে ১৪ এপ্রিল লকডাউনের মেয়াদ পূর্ণ হলেও, আরও দু'সপ্তাহ সেই মেয়াদ বাড়ানোর সম্ভাবন প্রবল ভাবে দেখা দেয়। যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের আগেই ওড়িশা, পাঞ্জাব, পশ্চিমবঙ্গ এবং মহারাষ্ট্র ইতিমিধ্যে বাড়িয়ে দেয় লকডাউনের মেয়াদ। তারা জানায়, ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত এই ৪ রাজ্যে চলবে লকডাউন।
এর আগে শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে হওয়া মুখ্যমন্ত্রীদের পর্যালোচনা বৈঠকে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। ১৩ জন মুখ্যমন্ত্রী সওয়াল করেছিলেন, বাড়ানো হোক লকডাউন। অপরদিকে, লকডাউনের মেয়াদবৃদ্ধি নিয়ে মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন মোদী। সেখানেই লকডাউন বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেন তিনি।