বীরদর্পে আকাশে উড়ল শৌর্য, মিসাইলের সফল পরীক্ষণে আরও মজবুত ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা
শৌর্য মিসাইলের নতুন সংস্করণের সফল পরীক্ষণ করল ভারত। সুত্র থেকে জানা যায় যে, ওড়িশার উপকূল এলাকা বালাসোরে এই মিসাইলের সফল পরীক্ষণ করা হয়েছে। শৌর্য অর্থাৎ সাহস, নির্ভীক অথবা অকুতোভয়৷ নামের মতোই কাজ করে এই মিসাইল৷ শত্রুপক্ষের মোকাবিলায় ভারতীয় সেনার অন্যতম ভরসাযোগ্য অস্ত্র হাইপারসনিক মিসাইল শৌর্য৷

শৌর্য মিসাইলের নতুন সংস্করণের পরীক্ষণ
সুত্র থেকে জানা যায় যে, শৌর্য মিসাইলের নতুন সংস্করণের মাধ্যমে ৮০০ কিমি দূরে থাকা লক্ষ্যকেও সহজেই ধ্বংস করা যাবে। শৌর্য মিসাইলের সফল পরীক্ষণের ফলে ভারতের মিসাইল সিস্টেম আরও মজবুত হয়ে যাবে। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি হালকা এবং পরিচালনা সহজ হবে।

১ টন পর্যন্ত ওজনের ওয়ারহেড বহনে সক্ষম শৌর্য
ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের তৈরি ভূমি থেকে ভূমি ক্ষেপণাস্ত্র হল শৌর্য মিসাইল৷ মিসাইলের আগের সংস্করণটি ১৯০০ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত এটি শত্রুর দিকে আঘাত হানতে সক্ষম৷ ১০০ কেজি থেকে ১ টন পর্যন্ত ওজনের ওয়ারহেড বহনে সক্ষম শৌর্য দূর থেকে লক্ষ্যবস্তুকে নিখুঁতভাবে আঘাত করার ক্ষমতা রাখে৷

সাবমেরিন মিসাইলের ভূমি সংস্করণ
সাবমেরিন মিসাইল সাগরিকা কে-১৫-এর ভূমি সংস্করণ বলে ধরা হয় শৌর্য মিসাইলকে৷ যদিও এই দুটোর মধ্যে সংযোগ রয়েছে তা মানতে চান না ডিআরডিও আধিকারিকরা৷ এই মিসাইলকে ক্যানেসটারার মধ্যে সংরক্ষণ করে রাখতে হয়৷ এতে বিনা রক্ষণবেক্ষণেই অনেকদিন পর্যন্ত থাকতে পারে৷ এতে স্থলপথে মিসাইলটিকে বহন করতেও সুবিধার হয়৷

শত্রুপক্ষের থেকে লুকিয়ে রাখা যায়
শৌর্য মিসাইইলের আরও একটি বৈশিষ্ট্য হল, এটিকে খুব সহজেই শত্রুপক্ষের থেকে লুকিয়ে রাখা যায়৷ আকারে ছোটো হওয়ার পাশাপাশি ক্যানেসটারের মধ্যে থাকার কারণে আন্ডার গ্রাউন্ড বা ক্যামোফ্লেজ সিস্টেমে শত্রুপক্ষের রেকনজিশেসন সিস্টেম বা স্যাটেলাইট থেকে লুকিয়ে রাখা যায়৷ তবে আকারে ছোটো হলেও ক্ষেপণাস্ত্রটিকে গতিতে পাল্লা দেওয়া মুশকিল৷ প্রতি ঘণ্টায় ৯২০০ কিলোমিটার গতিতে শত্রুর দিকে ধেয়ে যেতে পারে মিসাইলটি৷ সারা বিশ্বে ছোট আকারের এমন প্রবল গতিসম্পন্ন মিসাইল নেই৷
লাদাখ নিয়ে কংগ্রেসের গড়িমসির পর্দা ফাঁস, সীমান্ত পরিকাঠামো নিয়ে কড়া বার্তা নরেন্দ্র মোদীর