শত্রুদের ঠেকাতে অব্যর্থ 'প্রলয়' দ্বিতীয়বার সফল উৎক্ষেপণে ইতিহাস গড়ল 'ডিআরডিও'
শত্রুদের ঠেকাতে অব্যর্থ 'প্রলয়' দ্বিতীয়বার সফল উৎক্ষেপণে ইতিহাস গড়ল 'ডিআরডিও'
চিন হোক কিংবা পাকিস্তান, আবার 'প্রলয়' আসছে ভারতের শক্তি বৃদ্ধি করতে। দেশের সামরিক বাহিনীতে নয়া সদস্য 'প্রলয়'। বুধবারের পর বৃহস্পতিবারও সফল উৎক্ষেপণ করা হল এই স্বল্পপাল্লার নতুন ক্ষেপণাস্ত্রের। বিশ্ব ইতিহাসে এই প্রথমবার পরপর দুদিন দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন করা হল। বৃহস্পতিবার সকালে ওড়িশার এপিজে আবদুল কালাম দ্বীপে 'প্রলয়' ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের দ্বিতীয় পরীক্ষা চালায় ভারত। যা ৫০০ মিটার দূরের লক্ষকে নির্ভুল ভাবে ভেদ করেছে।
ডিআরডিও নয়া সাফল্য
উত্তরে চিন এবং পশ্চিমে পাকিস্তানের 'না-পাক' কীর্তিকলাপের জন্য কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বেশ কিছুদিন ধরেই বলে আসছে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। আর এবার ভারতে দ্বিতীয়বার সফল ভাবে উৎক্ষেপণ করা হল সারফেস-টু-সার্ফেস গাইডেড ব্যালিস্টিক মিসাইল 'প্রলয়'। বুধবার প্রথম উৎক্ষেপণের পর এদিন ফের সফল ভাবে নিজের লক্ষবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম হল 'প্রলয়'। আর পর পর দুদিন ব্যালিস্টিক মিসাইলের এই সফল উৎক্ষেপণ এর আগে কোনও দেশ করেনি। তাই এই সফলতা সোনালি পালক যুক্ত করল ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের মুকুটে।
প্রলয় কতটা শক্তিশালী?
ডিআরডিও জানিয়েছে, ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য 'প্রলয়' ৩৫০ থেকে ৫০০ কিলোমিটারের স্বল্পপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। নিজের লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুল ভাবে আঘাত হানতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র। ৫০০ থেকে ১০০০ কিলোগ্রাম পর্যন্ত বিস্ফোরক বহন করতে পারে 'প্রলয়'। এই ক্ষেপণাস্ত্র মাঝ আকাশে নিশানা পরিবর্তন করে শত্রুর অবস্থানে আঘাত হানতেও সক্ষম। মোবাইল লঞ্চার থেকেও এটি নিক্ষেপ করা যেতে পারে। ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রটি পৃথ্বী ডিফেন্স ভেহিক্যাল প্রোগ্রামের এক্সোঅ্যাটমস্ফিয়ারিক ইন্টারসেপ্টর মিসাইলের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। অর্থাৎ অত্যাধুনিক ক্ষমতা সম্পন্ন এই মিসাইলটি এর উন্নত র্যাডার ও নির্ভুল নিশানার জন্য আগামী দিনে দেশের প্রতিরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে চলেছে।
বুধবারের পরীক্ষিত 'প্রলয়'
বুধবারের ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা ছিল ৪০০ কিলোমিটার। ক্ষেপণাস্ত্রটি স্থল এবং সমুদ্র জুড়ে লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করার জন্য একটি আক্রমণাত্মক অস্ত্র। এবং ভবিষ্যতে ভারতের প্রতিপক্ষের ঘুম উরিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। 'প্রলয়' হল প্রপেলান্ট রকেট মোটর এবং অন্যান্য নতুন প্রযুক্তি দ্বারা চালিত। মিসাইল গাইডেন্স সিস্টেমের মধ্যে রয়েছে অত্যাধুনিক নেভিগেশন এবং ইন্টিগ্রেটেড এভিওনিক্স।
|
সাম্প্রতিক কালে ভারতের মিসাইল উৎক্ষেপণ
প্রসঙ্গত, কয়েক দিন আগেই অগ্নি সিরিজের নতুন ক্ষেপণাস্ত্র 'অগ্নি প্রাইম'-এর সফল পরীক্ষা চালিয়েছে ভারত। ১ থেকে ২ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত নিখুঁতভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র। নতুন প্রজন্মের হওয়ায় 'অগ্নি প্রাইম' অত্যন্ত হালকা মিশ্র ধাতুতে তৈরি। ফলে অগ্নি-৩ থেকে এর ওজন ৫০ শতাংশ কম। ওজনে হালকা হওয়ায় রেল বা সড়ক পথে বিশেষ সামরিক যান থেকে ক্ষেপণাস্ত্রটি ছোড়া যায়।