চোখের পলকে শত্রুকে আঘাত ভারতের তৈরি সুপারসনিক এই মিসাইলের! থরহরি কম্পন চিন-পাকিস্তানের
ভারতের ঘাড়ের কাছের নিঃশ্বাস ফেলছে চিন। সীমান্ত ঘেঁষে একের পর এক নির্মান কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বেজিং। সেনা সাজাচ্ছে লালফৌজ। একেবারে ভারত-চিন সীমান্তেই সেনা ঘাঁটি কমিউনিস্ট চিনের। আর সেই সমস্ত ঘাঁটিতে কামান থেকে শুরু করে একের পর এক মিসাইল মোতায়েন করা হচ্ছে। যা ক্রমশ উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়াচ্ছে ভারতের কাছে।
যদিও পালটা ঘুঁটি সাজাচ্ছে ভারতও। লাদাখ সহ একাধিক সিমান্তে ব্যাপক সেনা সমাবেশ ভারতের তরফেও। যুদ্ধবিমান থেকে শুরু করে সমস্ত বাহিনীকে অ্যালার্ট রাখা হয়েছে। আর এই অবস্থায় ফের শক্তি পরীক্ষা ভারতের।

ফের সুপারসনিক মিসাইলের সফল উৎক্ষেপণ ভারতে
চিন এবং পাকিস্তানের ঘুম উড়িয়ে ফের সুপারসনিক মিসাইলের সফল উৎক্ষেপণ ভারতে। ওড়িশার বালাসোরের উপকূল থেকে ছোড়া হল সেই মিসাইল। একেবারে নির্ধারিত লক্ষ্যে আঘাত করতে সক্ষম হয়েছে একেবারে দেশিয় প্রযুক্তি তৈরি মিসাইলটি। সোমবার পরীক্ষামূলকভাবে মিসাইলের মাধ্যমে একটি টর্পেডো নিক্ষেপ করা হয়েছে। ডিআরডিও ওই মিসাইল সিস্টেমটি তৈরি করেছে। মূলত ভারতীয় নৌসেনার জন্য ওই মিসাইল সিস্টেম তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই আধিকারিক।

উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে
একদিকে যখন চিন এবং পাকিস্তান ভারতের কাছে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে সেখানে ভারতের এই শক্তি পরীক্ষা ওই সমস্ত দেশের কাছে বার্তা দেবে বলে মনে করা হছে। ডিআরডিও-র তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, সাব মেরিনের বিরুদ্ধে আঘাত হানার জন্য ওই মিসাইল সিস্টেম তৈরি করা হয়েছে। সাধারণত টর্পেডোর যা রেঞ্জ থাকে, তার থেকে এটির রেঞ্জ অনেক বেশি। ফলে শুধু স্থল কিংবা আকাশেই নয়, জল পথেও ভারতের শক্তিবৃদ্ধি ঘটল।

অস্ত্র ভান্ডারকে মজবুত করছে
ক্রমশ ভারত তার অস্ত্র ভান্ডারকে মজবুত করছে। আর সেই লক্ষ্যেই একের পর এক শক্তি পরীক্ষা। শনিবারই রাজস্থানের পোখরানে অ্যান্টি ট্যাক মিসাইলের পরীক্ষা করা হয়েছে। হেলিকপ্টার থেকে ওই মিসাইলটি ছোঁড়া হয়। এতদিন যুদ্ধবিমান থেকে মিসাইল ছোঁড়া হলেও এবার হেলিকপ্টার থেকেও এই মিসাইল ছোঁড়া হল। যা কল্পিত শত্রুকে মুহূর্তের মধ্যে আঘাত করে ধ্বংস করে দেয়। এটি ডিআরডি'র কাছে অবশ্যই বড় সাফল্য

ভারতের কাছে আসছে এস-৪০০
চিনের দাদাগিরি রুখতে তৈরি ভারত। আর কয়েকদিনের মধ্যেই ভারতের হাতে চলে আসছে রাশিয়ার এস-৪০০। বিশ্বের সর্বাধুনিক মিসাইল সিস্টেম। ইতিমধ্যে ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে দিয়েছে এই ব্যবস্থা। খুব শিঘ্রই ভারতের হাতে তা চলে আসলেই চিন সীমান্তে এই ব্যবস্থা মোতায়েন করবে ভারত।
