মধ্যরাতের নাটক! বিজেপির শক্তি বাড়ল গোয়ায়
মনোহর পার্রিকরের মৃত্যুর পর মধ্যরাতে শপথ নিয়েছিলেন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সওয়ান্ত। এরপর থেকে বিজেপির সহযোগী দল এমজিপির মধ্যে চলছিল টানাপোড়েন।
মনোহর পার্রিকরের মৃত্যুর পর মধ্যরাতে শপথ নিয়েছিলেন গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সওয়ান্ত। এরপর থেকে বিজেপির সহযোগী দল এমজিপির মধ্যে চলছিল টানাপোড়েন। আবারও মধ্যরাতে এমজিপির মনোহর আজগাঁওকর এবং দীপক পৌষকর রাত ১.৪৫ নাগাদ স্পিকারকে চিঠি লিখে জানান, তাঁরা দুজন বিজেপির পরিষদীয় দলে যোগ দিচ্ছেন। যদিও চিঠি সই ছিল না, এমজিপির অন্যতম নেতা তথা উপমুখ্যমন্ত্রী সুদীন দাভালিকরের ।
জানা গিয়েছে, দুই বিধায়ক এমজিপি থেকে বেরিয়ে গিয়ে মঙ্গলবার এমজিপি টু নামে গোষ্ঠী গঠন করেন। এরপরেই এই দুই বিধায়ক নিজেদেরকে বিজেপির পরিষদীয় দলের সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার কথা জানান। এরফলে ওই দুই বিধায়ক দলত্যাগের আওতায় পড়বেন না।
বিরোধী সমালোচনার জবাবে গোয়ায় স্পিকারের দায়িত্বে থাকা মাইকেল লোবো বলেছেন, দুই বিধায়ক তার সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন। তাই তিনি সাক্ষাৎ করেছেন। দুই এমজিপি বিধায়কের দলে যোগদানে গোয়া বিধানসভায় বিজেপির সদস্য সংখ্যা ১২ থেকে বেড়ে হল ১৬। ২০১৭-র বিধানসভা নির্বাচনে গোয়ায় সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হয়েছিল কংগ্রেস। যদিও এমজিপি এবং গোয়া ফরোয়ার্ড পার্টির সমর্থন নিয়ে গোয়ার সরকার গড়ে বিজেপি।
[আরও পড়ুন: 'মিশন শক্তি' মহাকাশে ৩ মিনিটেই সফল ! জাতীর উদ্দেশে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা মোদীর]
গোয়ায় এমজিপি ২০১২ থেকে বিজেপির সহযোগী। তবে এই দলবদলে পদ হারাতে পারেন সুদীন দাভালিকর। সেই জায়গায় আসতে পারেন দীপক পৌষকর। দলের সভাপতি দীপক দাভালিকর বিজেপি সরকারের ওপর থেকে সমর্থন তুলে নেওয়ার হুমকি দেওয়ার পরেই দলে বিভাজন বলে জানা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: শ্রীনগরে নিজের স্কোয়াড্রনে ফিরলেন 'যোদ্ধা' অভিনন্দন ]
[আরও পড়ুন: উস্কানিমূলক মন্তব্য! বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে কমিশনে যাচ্ছে তৃণমূল, সিপিএম]