নির্বাচন রয়েছে এমন রাজ্যগুলিতে ব্যাঙ্কের গ্রাহকের আঙুলে কালি লাগাতে নিষেধ করল নির্বাচন কমিশন
কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রককে চিঠি লিখে নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে যে যে সমস্ত রাজ্যে উপ-নির্বাচন রয়েছে সেখানে গ্রাহকদের আঙুলে যেন কোনওভাবেই কালি লাগিয়ে দেওয়া না হয়।
নয়াদিল্লি, ১৮ নভেম্বর : ব্যাঙ্কে টাকা তুলতে গেলে আঙুলে কালি লাগিয়ে দেওয়ার নতুন পদ্ধতির বিরুদ্ধে আপত্তি জানাল খোদ ভারতের নির্বাচন কমিশন। কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রককে চিঠি লিখে নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে যে যে সমস্ত রাজ্যে উপ-নির্বাচন রয়েছে সেখানে গ্রাহকদের আঙুলে যেন কোনওভাবেই কালি লাগিয়ে দেওয়া না হয়।
এর আগে বুধবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের সচিব শক্তিকান্ত দাস ঘোষণা করেন যে ৫০০ ও ১ হাজার টাকার নোট বদলাতে এলে আঙুলে কালি লাগিয়ে দেওয়া হবে যাতে একই লোক বারবার ব্যাঙ্কের লাইনে দাঁড়িয়ে নোট বদলাতে না পারেন। কারণ অনেক কালো টাকার মালিক লোকজন লাগিয়ে কালো টাকা সাদা করার চেষ্টা করছে বলে জানতে পেরেছে কেন্দ্র।
এই ঘোষণার পর থেকে ফের একদফা সমালোচনার মুখে পড়েছে কেন্দ্র। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো অনেকে সাধারণ মানুষের অসুবিধার জন্য সরাসরি কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারকে।
টুইটারে কেন্দ্রকে আক্রমণ করে তৃণমূল নেত্রী বলেন, সাধারণ মানুষকে বিশ্বাস করছে না সরকার। এছাড়া সামনে উপনির্বাচেনর সময়ে আঙুলে কালি থাকলে তা নিয়ে সমস্যা হবে বলেও জানান তিনি। এছাড়া ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তোলার ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের অধিকারে হস্তক্ষেপ বলেও অনেকে তোপ দেগেছেন।
এই ইস্যুতেই এবার বিরোধিতা করে কেন্দ্রকে চিঠি পাঠাল নির্বাচন কমিশনও। মমতার মতোই নির্বাচন কমিশনের দাবি, যে সমস্ত রাজ্যে উপনির্বাচন রয়েছে সেখানে ভোটারদের আঙুলে কালি লাগালে সমস্যা হবে।
ফলে শনিবার ১৯ নভেম্বর থেকে শুরু হতে চলা অরুণাচল প্রদেশ, অসম, ত্রিপুরা, পশ্চিমবঙ্গ, মধ্যপ্রদেশ ও তামিলনাড়ুর উপনির্বাচনের সময়ে ভোটারদের হাতের আঙুলে কালি লাগানোর নিয়ম বাতিল করার কথা বলেছে নির্বাচন কমিশন।