পরিচারিকার খুনের দায়ে গ্রেফতার সাংসদ-পত্নী
রাখী (৩৫) নামের ওই পরিচারিকা গত ১০ মাস ধরে জাগৃতির কাছে কাজ করছিলেন। কয়েক মাস ধরেই তার উপর নিয়মিত অত্যাচার চালাত জাগৃতি। রাখীর মাথায়, বুকে, পেটে ও হাতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রথমে এ বিষয়ে জাগৃতি সিংকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। সাংসদ ধনঞ্জয় সিংকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। এই সাংসদের অতীতে ক্রিমিনাল রেকর্ড থাকায় সন্দেহের তালিকায় রাখা হয়েছে তাঁকেও। যদিও সাংসদের দাবী, বিবাহবিচ্ছেদের জন্য ইতিমধ্যেই আবেদন করেছেন তিনি। এবং সেই কারণেই কাছেই একটি অন্য বাড়িতে তিনি থাকতে শুরু করেছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। এমনকী যখন স্ত্রী ওই পরিচারিকার মৃত্যুর খবর ফোনে জানান তখন তিনি তাঁর নির্বাচনী এলাকা জনপুরে ছিলেন বলেও পুলিশকে জানিয়েছেন ধনঞ্জয়।
সোমবার সকালেই ওই রাখীর মৃত্যু হয়। যদিও মৃত্যুর অনেক ঘন্টা পর এ রাত ৮ টা নাগাদ বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়। সাংসদকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, "তিন দিন আগে স্ত্রী জাগৃতি আমাকে ফোনে জানায় পরিচারিকা সিড়ি থেকে পড়ে গিয়ে হাতে পায়ে চোট পেয়েছে। গতকাল ফের ফোন করে বলে তার মৃত্যু হয়েছে। আমি খবরটা পেয়েই তৎক্ষণাৎ চলে আসি। তার পর পুলিশ খবর দিই।"
সূত্রের খবর অনুযায়ী, প্রায়ই ওই পরিচারিকাকে মারধর করতেন ধনঞ্জয় জায়া। শুধু রাখীকেই নয় বাড়ির অন্যান্য পরিচারক-পরিচারিকাদেরও তিনি মারধর করতেন বলে জানা গিয়েছে। মারধরের কারণেই মৃত পরিচারিকার শরীরে ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। শুধু রাখীর খুন নয়, রামফল নামের নাবালক পরিচারককে খুনের চেষ্টার মামলাও দায়ের হয়েছে জাগৃতির বিরুদ্ধে।