বৃষ্টির জন্য পুতুলের বিয়ে দিলেন মহারাষ্ট্রের এই গ্রামের বাসিন্দারা
পুতুলের বিয়ে দেওয়ার রেওয়াজ নতুন কিছু নয়। প্রতিবছরই মহারাষ্ট্রের ওয়ার্ধার বাসিন্দারা এটা করে থাকেন।
পুতুলের বিয়ে দেওয়ার রেওয়াজ নতুন কিছু নয়। প্রতিবছরই মহারাষ্ট্রের ওয়ার্ধার বাসিন্দারা এটা করে থাকেন। ভাল বৃষ্টি আর আর্থিক সংকট থেকে বাঁচার লৌকিক রীতি হিসেবেই পুতুলের বিয়ে দিয়ে থাকেন তাঁরা। এবার একটু বড় করেই এর আয়োজন করেছিলেন গ্রামবাসীরা। সকলে মিলে চাঁদা তুলে বড় করে উৎসব করেন। গান বাজনা, খাওয়া দাওয়ার এলাহি আয়োজন হয়েছিল তাতে।
এবার গরমের দাপটে ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় পৌঁছে গিয়েছিল মহারাষ্ট্র। তারসঙ্গে প্রবল জলসংকট। প্রায় খরা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল গোটা রাজ্য। জমির ফসল শুকোতে শুরু করেছিল। মূলত কষি নির্ভর মহারাষ্ট্রের ওয়ার্ধা। সারা বছরের রোজগার নির্ভর করে ফলনের উপর। বৃষ্টি কম হলেই তাঁদের দুর্ভোগ চরমে ওঠে। ফলন খারাপ হলে অর্থের যোগান কম হয়। সারা বছর অর্থ সংকটে কাটাতে হয় তাঁদের। তাই বর্ষা ভাল হওয়ার উপরেই এখানকার বাসিন্দাদের জীবন নির্ভর করে।
গ্রামের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বিয়ের মতো শুভ অনুষ্ঠান সংসারে সাচ্ছন্দ আনে। এক কথায় বলা যায় ঘরে লক্ষ্মী আসে। সেকারণেই এই প্রতীকী পুতুলের বিয়ের আয়োজন।
শুধু মহারাষ্ট্র নয় জলকষ্টে বিপর্যস্ত তামিলনাড়ুতেও বৃষ্টির জন্য হোম, যজ্ঞের আয়োজন করা হয়েছিল। এমনকী তামিলনাড়ু সরকার নিজের উদ্যোগে বৃষ্টির জন্য যজ্ঞ করিয়েছে।