গুরুগ্রামের স্কুলছাত্রের হত্যার ঘটনায় কি জড়িত তৃতীয় কোনও ব্যক্তি, উঠছে প্রশ্ন
গুরুগ্রামের রায়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে যৌন নিগ্রহের প্রমাণ মেলেনি। এমনটাই জানিয়েছেন, গুরগাঁও সিভিল হাসপাতালের ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক দীপক মাথুর
গুরুগ্রামের রায়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে যৌন নিগ্রহের প্রমাণ মেলেনি। এমনটাই জানিয়েছেন, গুরগাঁও সিভিল হাসপাতালের ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক দীপক মাথুর। কেননা ছাত্রের স্কুলের পোশাকে তার কোনও প্রমাণ মেলেনি। তবে ফরেনসিক পরীক্ষার পর বিষয়টি আরও পরিষ্কার হতে পারে বলে জানিয়েছেন ওই চিকিৎসক।
এর আগে বাস কন্ডাক্টর অশোক কুমারকে গ্রেফতারের পর সকলের সামনেই বলেছিলেন, যৌন নিগ্রহে বাধা দেওয়াতেই গলায় ছুড়ি চালিয়ে হত্যা করা হয়েছিল ওই ছাত্রকে।
তবে মৃত ছাত্রের বাবা-মায়ের দাবি, ঘটনাস্থলে হত্যার থেকেও বড় কিছু ঘটেছিল। ছাত্রটি এমন কিছু দেখে ফেলেছিল, যার যেরেই তাকে হত্যা করা হয়েছিল বলে মনে করছেন তাঁরা। স্কুলে ঢোকার ১০ মিনিটের মধ্যেই এই ঘটনায় খুনের কোনও উদ্দেশ্য সামনে না আসায় এমনটাই সন্দেহ করছেন তাঁরা। খুনের সময়েও কেন ওই ছাত্রের চিৎকার কেউ শুনতে পেলেন না, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।
এদিকে গ্রেফতার হওয়া বাস কন্ডাক্টর অশোক কুমারই ওই ছাত্রকে খুন করেছে, নাকি ওই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ঘটনায় তৃতীয় কোনও ব্যক্তি জড়িত থাকতে পারেন বলেও সন্দেহ তদন্তকারীদলের। এসবের মধ্যে সিটের বক্তব্যে ধন্দ আরও বেড়েছে। সোহানার আদালতে তাঁরা জানিয়েছে, ঘটনার প্রমাণ নষ্ট করা হয়েছে।
অশোক কুমার যে বাসের কন্ডাক্টর, সেই বাসের চালক সৌরভের কথায় তদন্তে জটিলতা দেখা দিয়েছে। তাঁর দাবি, ঘটনার কিছুক্ষণ পরেই তিনি ঘটনাস্থলে যান। সেখানে গিয়ে দেখেন কন্ডাক্টরের জামা রক্তে ভেজা। চালকের দাবি, কর্তৃপক্ষ এবং অশোক দুজনেই জানান, স্কুলের শৌচাগারে পড়ে জখম হয়েছে ছাত্রটি। একইসঙ্গে যে ছুড়ি দিয়ে ছাত্রের গলায় কোপ মারা হয়েছে বলে অভিযোগ, সেটি স্কুল বাসের টুল কিটের নয় বলেই জানিয়েছেন তিনি। চালকের অভিযোগ, থানায় আটকে তাঁকে দিয়ে বলানোর চেষ্টা হয়, ছুড়িটি স্কুল বাসের টুল কিটে ছিল। ঘটনায় জোর করে বয়ান দেওয়ানোর চেষ্টা হচ্ছে বলে ইতিমধ্য়েই অভিযোগ করেছেন স্কুলের আরও এক কর্মী। ফলে এখন বাস কন্ডাক্টর অশোককুমারের বয়ান নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
স্কুলে ছাত্র হত্যার জেরে দেশ জুড়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হওয়ায় বুধবার বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মানেকা গান্ধী এবং প্রকাশ জাভড়েকরসহ মন্ত্রকের পদস্থ আধিকারিকরা। স্কুলগুলিতে যৌন নিগ্রহসহ অন্য ধরনের অপরাধ বন্ধে কৌশল নিয়ে আলোচনা করেন তাঁরা।