Click it and Unblock the Notifications
Just In
-
-
-
-
Don't Miss
-
তীব্র গরমের দাপটে কী কী রোগ হয়? প্রতিরোধের উপায় -
আইপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান নিয়ে উচ্ছ্বসিত তামান্না ও রশ্মিকা, পছন্দের ২ ক্রিকেটারেও পুরো মিল -
গ্রাহকদের জন্য সম্পূর্ণ নতুন ফিচার নিয়ে হাজির এয়ারটেল, কীভাবে কাজ করবে?
আরএসএসকে সমর্থন , মৃত্যু ফতোয়া মুসলিম চিকিৎসকের বিরুদ্ধে
রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) সমর্থক হওয়ার কারণে একজন মুসলিম ডাক্তারের বিরুদ্ধে 'মৃত্যুর ফতোয়া' জারি করার জন্য মঙ্গলবার উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযুক্ত, হাফিজ ইমরান ওয়ারসি নামে চিহ্নিত ডক্টর মোহাম্মদ নিজাম মারার জন্য ১ লক্ষ টাকা পুরস্কারও জারি করে। সেখানে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে ডাক্তারকে হত্যা করার জন্য যে কেউ পেতে পারেন ১ লক্ষ টাকা পুরস্কার। রিপোর্টে এমনটাই বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে ওই চিকিৎসক ২ এপ্রিল গুড়ি পাওয়া উপলক্ষে একটি সমাবেশের সময় আরএসএস সদস্যদের উপর ফুল বর্ষণ করেছিলেন। এটি এলাকার মুসলমানরা ভালোভাবে নেয়নি, তাই ফতোয়া জারি করা হয়েছিল। ২ এপ্রিল মোরাদাবাদে আরএসএস দ্বারা আয়োজিত 'প্যাড সঞ্চালন যাত্রা' সমর্থকদের অনুসরণ করে বেশ কিছু আরএসএস সদস্যের অংশগ্রহণের সাক্ষী ছিল। সমাবেশের সময় ডক্টর মোহাম্মদ নিজাম ভারতী এবং তার পরিবারের সদস্যরা সক্রিয়ভাবে ইভেন্টে অংশ নিয়েছিলেন ।
এলাকার সিসিটিভি ফুটেজে ফতোয়ার প্যামফ্লেটও দেখা যাচ্ছে যেগুলো মানুষের কাছে বিতরণ করা হচ্ছিল। এই ঘটনাগুলি ডাক্তারকে পুলিশের কাছে অভিযোগ নথিভুক্ত করতে সাহায্য করেছিল যার ভিত্তিতে অভিযুক্তকে মঙ্গলবার গ্রেপ্তার করা হয়েছিল৷ একই কথা বলতে গিয়ে ভারতী তার অবস্থান রক্ষা করে বলেন, "আমি একজন মুসলিম এবং আমিও একজন জাতীয়তাবাদী।" উল্লেখযোগ্যভাবে, উত্তরপ্রদেশের কুশিনগর এলাকায় এক মুসলিম ব্যক্তিকে ভারতীয় জনতা পার্টির প্রচারের অভিযোগে পিটিয়ে মেরে ফেলার কয়েকদিন পর এই ঘটনা ঘটে।
উত্তর প্রদেশের কুশিনগর জেলায় বিজেপির নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেওয়া এবং সম্প্রতি অনুষ্ঠিত রাজ্য নির্বাচনে বিজয় উদযাপন করার জন্য তার প্রতিবেশীদের দ্বারা মারধরের পর রবিবার বাবর আলি, নামে একজন মুসলিম যুবক মারা যান। ২০ শে মার্চ কাঠারগড়িতে তাকে মারধর করা হয়েছিল এবং লখনউয়ের একটি হাসপাতালে চিকিৎসার সময় তিনি মারা যান। রবিবার যখন তার লাশ তার গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়, তখন তার পরিবার শেষকৃত্য করতে অস্বীকার করে এবং অপরাধীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানায়।
বাবরের পরিবারের মতে, বাবর বিজেপির প্রচার করতেন বলে তাদের প্রতিবেশীরা বিরক্ত ছিল। ১০ মার্চ ইউপি বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করার পরে যেখানে বিজেপি জেতার পর বাবর এলাকায় মিষ্টি বিতরণ করেছিলেন, তার পরিবার এমনটাই দাবি করেছে। পরিবারের দাবি, তার প্রতিবেশীরা বারবার তাকে বিজেপিকে সমর্থন না করার বিষয়ে সতর্ক করেছিল। এরপরেই ঘটে এই ঘটনা।
