তিহার জেলে করোনায় আক্রান্ত বন্দীদের চিকিৎসা করতে চায় আল–কায়দা জঙ্গি, আবেদন আদালতে
তিহার জেলে করোনায় আক্রান্ত বন্দীদের চিকিৎসা করতে চায় আল–কায়দা জঙ্গি, আবেদন আদালতে
তিহারের কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে কোভিড–১৯ সঙ্কটে সাহায্য করতে চেয়েছে ভারতে আল–কায়দার অপারেটিভ ধৃত ডাঃ সাবিল আহমেদ। যাকে সৌদি আরবে নির্বাসনের পর গ্রেফতার করা হয়। ধৃত সাবিল দিল্লি আদালতে এ সংক্রান্ত অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছে।
আহমেদের বিরুদ্ধে তদন্ত করা বিশেষ সেল দাবি করেছে যে ২০০৭ সালে ব্রিটেনের গ্লাসগো বিমানবন্দরে আত্মঘাতী জঙ্গি হামলার ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ছিল সে এবং সৌদি আরব ও ব্রিটেনের জঙ্গি–সংক্রান্ত ঘটনার সঙ্গেও যুক্ত থাকার প্রমাণ মিলেছে। বুধবার আহমেদ বিশেষ বিচারপতি ধর্মেন্দ্র রানার কাছে এ বিষয়ে আবেদন করেছে। এ নিয়ে শুনানি শুরু করা হবে ১৫ মে। আহমেদ তার আইনজীবী এমএস খানের মাধ্যমে আদালতকে জানিয়েছে যে তার মেডিক্যাল পেশার অভিজ্ঞতা কোভিড–১৯ কেস দমনের ক্ষেত্রে সহায়তা করতে পারে এবং কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দীদের চিকিৎসায় সে সাহায্য করতে পারে। জেল কর্তৃপক্ষকে সাহায্য করতে চেয়ে জেল সুপারের কাছেও অনুমতি চেয়েছিল।
আহমেদের আবেদনে বলা হয়েছে, 'এখানে উল্লেখ করা প্রাসঙ্গিক যে অভিযুক্ত একজন যোগ্য এমবিবিএস চিকিৎসক, যার গুরুতর কেস চিকিৎসা করার সাত বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাঁর অভিজ্ঞতা কোভিড কেস দমন করতে সহায়তা করবে এবং তিহার জেলের বন্দীদের চিকিৎসাতেও সাহায্য করবে।’ আহমেদের আইনজীবী এও জানান যে এ রকম পরিস্থিতিতে তাই জেল কর্তৃপক্ষকে সাহায্য করার জন্য জেল সুপারিনটেনডেন্ট অভিযুক্তকে অনুমতি দিতেই পারে। প্রসঙ্গত, দিল্লির তিহার জেলেও বন্দীদের মধ্যে কোভিড–১৯ আক্রান্তের কেস দেখা গিয়েছে। অনেক বন্দীকেই এরকম পরিস্থিতিতে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
আম্ফানের মতই ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করতে পারে Cyclone Tauktae! আশঙ্কা আবহাওয়াবিদদের
দিল্লি পুলিশের বিশেষ সেলের হাতে এ বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার হয় আহমেদ। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে ভারত ও বিদেশের অন্যান্য জঙ্গি সংগঠনকে আর্থিক সহায়তা করত আহমেদ। এই মামলায় পাঁচজন অভিযুক্তের বিচার চলছে আদালতে। বিশেষ সেল দাবি করেছে যে কোভিড–১৯-এর কারণে বেঙ্গালুরুতে সন্দেহভাজন এবং সাক্ষীদের পরীক্ষা বিচারাধীন ছিল এবং মামলায় বাকী ১০ জনের খোঁজ চলছে। আহমেদকে প্রথম সৌদি আরব থেকে বেঙ্গালুরু নিয়ে আসা হয় ২০২০ সালের ২০ অগাস্ট। এরপর এ বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি বিশেষ সেল তার হেফাজত নেয়।