গুজরাতে কংগ্রেসকে বাড়তি মাইলেজ দিয়েছে এই সোশ্যাল মিডিয়া স্লোগান, চিনুন এর নেপথ্যের মানুষটিকে
গুজরাতে কংগ্রেসের এই উত্থানের নেপথ্য়ে অনেকটাই কাজ করছে তাদের সোশ্যাল মিডিয়া ক্যাম্পেন 'বিকাশ গো ক্রেজি'।
গুজরাত নির্বাচনে ভোট গণনার শুরুর দিকে বিজেপিকে ছাপিয়ে বেশ কিছুটা এগিয়ে ছিল কংগ্রেস। মেহসানা সহ বেশ কিছু জায়গায় বিজেপিকে বেশ ভালো টক্কর দিতে থাকে কংগ্রেস। এছাড়াও পাতিদার সম্প্রদায় অধ্যুষিত এলকায়ও জোড় থাবা বসাতে থাকে কংগ্রেস। অনেকেই মনে করছেন গুজরাতে কংগ্রেসের এই উত্থানের নেপথ্য়ে অনেকটাই কাজ করছে তাদের সোশ্যাল মিডিয়া ক্যাম্পেন 'বিকাশ গো ক্রেজি'।
'বিকাশ পাগল হয়ে গেছে'
গুজরাত নির্বাচনে ক্রমাগত সভা ও প্রচারের পাশাপাশি কংগ্রেসের তরফে জোর প্রচার চালানো হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। তার মধ্যে 'বিকাশ গো ক্রেজি' বা 'বিকাশ পাগল হয়ে গেছে' এই হ্যাশট্যাগ-এ বেশ ভালো নজর কাড়ে কংগ্রেস। এই নিয়ে একটি ভিডিও আপলোড করে কংগ্রেস। এই ভিডিওয় বিজেপি সরকারের বিভিন্ন ব্যর্থতাকে তুলে ধরা হয়েছে প্যারোডির মাধ্যমে। যার মধ্যে অন্যতম বুলেট ট্রেনের স্বপ্ন দেখা। সবমিলিয়ে এই ভিডিও সামনে আসার পরে হইচই পড়ে যায়।
দিব্যা স্পন্দনা
যাঁর মস্তিষ্ক প্রসূত এই ক্যাম্পেন, তিনি রাহুল গান্ধীর ঘনিষ্ঠ মহলের এক অন্য়তম সেনানেত্রী দিব্যা স্পন্দনা। কন্নড় অভিনেত্রী তথা কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী ঘনিষ্ঠদের মধ্যে অন্যতম হলেন দিব্যা স্পন্দনা।
রাহুলের সেনানেত্রী
দিব্যাকে কংগ্রেস কর্মীদের মধ্য় থেকে বেছে নেন রাহুল স্বয়ং। এরপর থেকেই পার্টির সোশ্যাল মিডিয়া ক্যাম্পেনের দায়িত্ব তাঁর কাঁধে ওঠে। উল্লেখ্য, কংগ্রেসের সোশ্য়াল মিডিয়া প্রচারের দায়িত্ব নিয়েই দিব্য়ার সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ আসে রাহুল গান্ধাীকে নিয়ে ট্রোল ঘিরে। আর সেই ট্রোল রুখতেই নিত্যদিন নতুন নতুন রাজনৈতিক স্ট্র্যাটেজি নিতে হয় দিব্য়াকে । যা মোটেও সহজ কাজ ছিল না।
চাপে পড়ে যায় বিজেপি
তবে গুজরাত নির্বাচনে দিব্যার এই ক্যাম্পেন বেশ প্রভাব ফেলে গুজরাতের যুব সমাজের ওপর। চাপে পড়ে বিজেপিও। এই সোশ্যাল মিডিয়া মেসেজ এতটাই প্রভাব বিস্তার করে যে বিজেপি কর্মীদের এই ভিডিও থেকে দূরে থাকতে বলতে হয় খোদ বিজেপি সভাপতি অমিত শাহকে।