'টয়লেট: এক প্রেমকথা' ছবির গল্প ঘটে গেল বাস্তবে, তবে পরিণতি কী হল জেনে নিন
অভিযোগ ছিল, শ্বশুরবাড়িতে নেই শৌচালয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে রাজস্থানের ভিলওয়াড়ার আদালতে বিবাহর বিচ্ছেদের আবেদন করেন এক মহিলা।
অক্ষয় কুমার অভিনীত 'টয়লেট: এক প্রেমকথা ' ছবিটি ২০১২ সালে ঘটে যাওয়া একটি সত্যি ঘটনা অবলম্বনে তৈরি বলে শোনা যায়। ছবিতে, শৌচালয় নির্মাণ নিয়ে দাম্পত্য কলহের গল্প দেখানো হয়েছে। এক্কেবারে সেই ঘটনাই এবার ঘটে গেল রাজস্থানে। আর শ্বশুড়বাড়িতে শৌচালয় নির্মাণ না হওয়ায় ঘটে গেল বিবাহ বিচ্ছেদ।অভিযোগ ছিল, শ্বশুরবাড়িতে নেই শৌচালয়।
সেই অভিযোগের ভিত্তিতে রাজস্থানের ভিলওয়াড়ার আদালতে বিবাহর বিচ্ছেদের আবেদন করেন এক মহিলা। মহিলার সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে আদালত জানিয়েছে, শৌচালয় না থাকাটা মহিলাদের প্রতি নির্মমতার সামিল। ফলে আদালতের তরফে বিবাহবিচ্ছেদে শিলমোহর দেওয়া হয়েছে।
আদালতের তরফে প্রশ্ন তোলা হয়েছে যে , রাতের অন্ধকারে শৌচ কাজের জন্য় মা, বোনেরা বাইরে যাবেন , সেটা নিয়ে কি কারোর কিছু মনে হয়নি? পাশপাশি আদালত জানিয়েছে ২১ শতকে দাঁড়িয়ে , বাড়িতে শৌচালয় না থাকাটা লজ্জার কথা। এদিকে, ঘটনাকে মানসিক অত্যাচার বলে বর্ণনা করেন আবেদন কারী মহিলা। আদালতের বক্তব্য, 'মদ, তামাক, মোবাইলের জন্য মানুষ , খরচ করতে পারে, তবু বাড়িতে শৌচালয় বানাতে গিয়ে কৃপণতা করেন।'উল্লেখ্য, এই মামলায় অভিযোগকারীর শ্বশুরবাড়ির লোককে, বাড়িতে শৌচালয় থাকার প্রমাণও চেয়ে পাঠায় আদালত। যা দেখাতে না পারাতেই ঘটে যায় এই বিবাহবিচ্ছেদ।