জেলে রয়েছেন বিধায়করা, এ বছর ঝাড়খণ্ডে নির্বাচনে লড়বেন স্ত্রী–কন্যারা
জেলে রয়েছেন বিধায়করা, এ বছর ঝাড়খণ্ডে নির্বাচনে লড়বেন স্ত্রী–কন্যারা
এ বছর ঝাড়খণ্ডের বিধানসভা নির্বাচনে মহিলা প্রার্থীরাই কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছেন। তবে তা তাঁদের ক্ষমতায়নের জন্য নয়। দেখা গিয়েছে, বেশ কিছু বিধায়ক বিভিন্ন মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তাঁদের সদস্যপদ বাতিল হয়ে গিয়েছে। কিন্তু সেইসব কেন্দ্রগুলিতে নিজেদের স্ত্রী ও কন্যাদের প্রার্থী হিসাবে দাঁড় করিয়ে একদিকে যেমন জনগণের মন জয় করতে চাইছেন তেমনি আসনটি যাতে পরিবারের মধ্যেই থাকে সেটাও স্মরণে রেখেছেন তারা। আসলে রাজনীতিতে যেভাবেই হোক টিকে থাকতে হবে।
অমিত মাহাতো, এনোষ এক্কা, যোগেন্দ্র মাহাতো, কমল কিশোর ভগত, যোগেন্দ্র সাও, সঞ্জীব সিং সহ আরও অনেক বিধায়কের নামই রয়েছে এই তালিকায়। সিল্লি কেন্দ্রের প্রাক্তন বিধায়ক অমিত মাহাতো, যিনি ফৌজদারী মামলায় দোষী সাব্যস্ত, তার স্ত্রী সীমা অ্যাজসুর হয়ে টিকিট পেয়েছেন। ২০১৮ সালে সীমা উপ–নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন। তিনবারের প্রাক্তন বিধায়ক এনোষ এক্কা, যিনি একজন খুনের আসামী, তাঁর কন্যা ইরেনা বাবার কেন্দ্র কোলেবিরা থেকে লড়ছেন। জেএমএম–এর প্রাক্তন বিধায়ক যোগেন্দ্র মাহাতোর স্ত্রী ববিতা দেবী এ বছরের নির্বাচনে গোমিয়া থেকে প্রার্থী হয়েছেন। তিনি জেএমএম–এর হয়ে ২০১৮ সালের উপ–নির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকেই জয়লাভ করেছিলেন।
ফৌজদারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত কমল কিশোর ভগতের স্ত্রী নীরু শান্তি ভগত লোহারডাগা থেকে অ্যাজসুর হয়ে টিকিট পেয়েছেন। ২০১৮ সালের উপ–নির্বাচনে তিনি পরজিত হয়েছিলেন, এ বছর তাঁর ভাগ্য সঙ্গ দেয় কিনা এখন সেটাই দেখার। যোগেন্দ্র সাও এ বছর তাঁর স্ত্রীয়ের পরিবর্তে কন্যা আম্বা প্রসাদকে প্রার্থী করেছেন বদকাগাঁও থেকে। আগের নির্বাচনগুলিতে তার স্ত্রী প্রার্থী হয়েছিলেন। যোগেন্দ্র রয়েছে বিরসা মুণ্ডা কেন্দ্রীয় সংশোধোনাগারে।
অন্যদিকে, যোগেন্দ্র ও তার স্ত্রীয়ের বিরুদ্ধে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটানোর অভিযোগ থাকায় বিধায়কের স্ত্রীর ওপর ঝাড়খণ্ডে ভোটে দাঁড়ানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। বিজেপি বিধায়ক সঞ্জীব সিংয়ের স্ত্রী রাগিনী এ বছর ঝারিয়া থেকে ভোটে লড়বেন। তাঁর স্বামী নিজেরই জ্ঞাতি ভাইকে খুন করার অভিযোগে জেলে রয়েছে। এক রাজনৈতিক নেতা এ প্রসঙ্গে বলেন, 'যদি কোনও অযোগ্য বিধায়কের স্ত্রী বা কন্যা টিকিট পান, তবে বিরোধীরা যে রাজনৈতিক প্রতিশোধ গ্রহণ করছে তা এই কারণেই জনসাধারণের অনুভূতিকে জয় করতে সহায়তা করে। এটি তাদের অপরাধমূলক পটভূমিকেও হাল্কা করে। যদিও, একজন মহিলাকে টিকিট দেওয়ার অর্থ জনগণের মধ্যেও ইতিবাচক বার্তা দেয় কারণ প্রতিশ্রুতিশীল মহিলা নেতা খুব কম রয়েছে।’
মহারাষ্ট্রে সংখ্যাগরিষ্ঠতা কাদের! উভয়পক্ষের হলফনামার অঙ্ক ছপিয়ে গেল মোট আসনও