ওড়িশা: 'ফণী'র ফায়দা তুলতে সক্রিয় কালোবাজারিরা; প্রশাসনের সাবধানবাণী জলেই
শুক্রবার, ৩ মে ওড়িশার উপকূলে 'সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্ম' 'ফণী' আছড়ে পড়ার আগেই স্থানীয় প্রশাসনের তরফ থেকে ব্যাপক তৎপরতা দেখানো হয়েছে সাধারণ মানুষকে সুরক্ষিত স্থানে সরানোর বিষয়ে।
শুক্রবার, ৩ মে ওড়িশার উপকূলে 'সিভিয়ার সাইক্লোনিক স্টর্ম' 'ফণী' আছড়ে পড়ার আগেই স্থানীয় প্রশাসনের তরফ থেকে ব্যাপক তৎপরতা দেখানো হয়েছে সাধারণ মানুষকে সুরক্ষিত স্থানে সরানোর বিষয়ে। সামনে কঠিন দিন আগত দেখে সাধারণ মানুষ দোকানে ভিড় করেছেন দৈনন্দিন প্রয়োজনের সামগ্রী কেনার জন্যে। ওড়িশার গঞ্জাম জেলার মানুষ আলু, পেঁয়াজ এমনকী যানবাহনের জ্বালানি কেনার জন্যে আগে থাকতেই উদ্যোগী হয়েছেন।
কিন্তু এই সুবাদে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী আরও মুনাফার লোভে নেমে পড়েছে।
ভুবনেশ্বরের সংবাদমাধ্যমের মতে, এইসমস্ত ব্যবসায়ীরা আলু এবং পেয়াঁজের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন অনৈতিকভাবে এবং কালোবাজারি শুরু হয়েছে ব্যাপক হারে। কোথাও কোথাও আলু চল্লিশ টাকা কিলো বা তারও বেশি দরে বিকোচ্ছে।
প্রশাসন সাবধান করেছিল ব্যবসায়ীদের, কিন্তু কোথায় কী?
এই কালোবাজারি বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছে প্রশাসন বলেও অভিযোগ উঠছে। বলা হচ্ছে যে চোখের সামনে ক্রেতাদের ঠকানো হলেও কোনও কড়া পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ আধিকারিকরা।
স্থানীয় বাজারে মঙ্গলবার পর্যন্ত আলুর দাম সতেরো টাকা কিলো থাকলেও বুধবারেই তা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের মতে, প্রশাসন এ বিষয়ে জানতেন আগে থেকেই। জেলার উচ্চ আধিকারিক বিজয় অমৃতা কুলঙ্গে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এ ব্যাপারে বুধবার, পয়লা মে একটি বৈঠকও করেন যেখানে তিনি সাবধান করে দেন যে বাজারে আলু ও অন্যান্য তরিতরকারির দাম অনৈতিকভাবে বাড়ালে কড়া পদক্ষেপ নেবে প্রশাসন। কিন্তু সে চেতাবনি যে আসলে কোনও প্রভাবই ফেলেনি, তা পরিষ্কার হয়েছে গত কয়েকদিনের কালোবাজারির হার দেখেই।
মুনাফা লুটছে কালোবাজারিরা, ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ
সাধারণ মানুষ অভিযোগ করেছেন যে ইচ্ছাকৃতভাবে বাজারে অভাব তৈরি করে দাম বাড়িয়ে মুনাফা লোটার চেষ্টা করছে এই সমস্ত অসাধু ব্যবসায়ীরা।
[আরও পড়ুন:ঘূর্ণিঝড় ফণীর তাণ্ডব, দেখে নিন ছবিতে]
[আরও পড়ুন: সাইক্লোন 'ফণী'র তাণ্ডবে ওড়িশায় মৃত ২ , লণ্ডভণ্ড একাধিক এলাকা]