মোদীর বিরুদ্ধে প্রথম অনাস্থা! জেনে নিন লোকসভায় দলগুলির সংখ্যাতাত্ত্বিক অবস্থান
বাদল অধিবেশনের শুরুর দিনেই লোকসভার স্পিকার সুমিত্রা মহাজন বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন। সেই অনাস্থায় সহজেই জিতবে সরকার।
বাদল অধিবেশনের শুরুর দিনেই লোকসভার স্পিকার সুমিত্রা মহাজন বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন। সেই অনাস্থায় সহজেই জিতবে সরকার। তবে অনাস্থা নিয়ে আলোচনায় দেশব্যাপী গণপ্রহার-সহ একাধিক বিষয় থাকায়, কোনও বিষয়টি কিংবা বিষয়গুলি প্রাধান্যের তালিকায় থাকে এখন সেটাই দেখার।
তৃণমূলকে অসুবিধায় ফেলতেই শুক্রবার
বিরোধীদের তরফে বলা হচ্ছে শুক্রবার দিনটিকে বেছে নেওয়া হয়েছে, পরের দিন কলকাতায় তৃণমূলের কর্মসূচির কারণে। কেননা সেখানে ৩৪ জন সাংসদ ব্যস্ত থাকবেন, সেটা ধরে নিয়েই। যদিও পরে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন অনাস্থা প্রস্তাবের আলোচনায় দিল্লিকেই গুরুত্ব দিতে হবে। অর্থাৎ তৃণমূলের কর্মসূচিতে উপস্থিতির আগে লোকসভায় সাংসদদের উপস্থিতি জরুরি।
অন্যদিকে, শনিবার এনসিপি সাংসদদের মুম্বইয়ের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা থাকলেও, তারা লোকসভায় হাজির থাকবেন বলে সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে।
খুব সহজেই অনাস্থা পরাস্ত হবে
বিজেপির ম্যানেজারদের দাবি, মোদীর শাসনে এটাই প্রথম অনাস্থা প্রস্তাব। যা খুব সহজেই পরাস্ত হয়ে যাবে। কেননা স্পিকারকে ধরে এনডিএ-র হাতে রয়েছে ৩১৪ টি আসন। ৫৪৪ আসনের লোকসভায় এখন সদস্য রয়েছেন ৫৩৪ জন। যার অর্ধেক হল ২৬৭। দুজন মনোনীত সদস্য ধরে লোকসভায় বিজেপি সদস্য সংখ্যা ২৭৩। তবে শেষমেষ বিজেপির সদস্য সংখ্যার পরিবর্তন হতেই পারে কেননা একাধিক সদস্য দলের প্রতি বিরূপ।
অন্যদিকে, লোকসভায় বিরোধীদের সদস্য সংখ্যা ২২২। যার মধ্যে রয়েছে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ-র ৬৩, এআইএডিএমকে-র ৩৭, তৃণমূল ৩৪, বিজেডি ২০, টিডিপি ১৬ এবং টিআরএস ১১।
তবে প্রয়োজনে এআইএডিএমকে-এর ৩৭ জন এনডিএকে সমর্থন করতে পারে। টিআরএস-এর ১১ জন এবং বিজেডির ২০ জন সদস্য বিরোধীদের নাও সমর্থন করতে পারে। এছাড়াও রয়েছেন আইএনএলডি-র ২ জন এবং নির্দলীয় ৩ জন সদস্য।
বিরোধীদের মধ্যে ভাঙন ধরাতে চায় সরকার পক্ষ
সূত্রের খবর অনুযায়ী, সরকারপক্ষ এই অনাস্থা প্রস্তাবের ভোটাভুটিতে বিরোধীদের মধ্যে ভাঙন ধরাতে চায়। বিজেডি, টিআরএস এবং এআইএডিএমকে-র মতো দলগুলি সরকারকে সমর্থন না করলেও যাতে নিরপেক্ষ থাকে, সেই বিষয়টিও চেষ্টা করা হচ্ছে বিজেপির তরফে।
সংখ্যা তাদের বিপক্ষে রয়েছে জানে বিরোধীরা
বিরোধীরাও জানে সংখ্যা তাদের বিপক্ষে রয়েছে। বিতর্কে অংশ নিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে সরকারপক্ষ তথা নরেন্দ্র মোদীর সরকারকে আক্রমণ করতে চায়। মোদীর সরকারের সমর্থনে যেসব দল রয়েছে, তাদের সামনেও বিষয়গুলি তুলে ধরতে চায় বিরোধীরা। মূল্যবৃদ্ধি, অসহিষ্ণুতা, জিএসটি, নোটবাতিল-সহ বিভিন্ন বিষয় তাদের বক্তব্যে তুলে ধরা হবে বলে জানানো হয়েছে বিরোধীদের তরফে।