এক লক্ষ গাছ পুঁতে পাহাড়কে সুবজ করে তুললেন বিহারের দিলীপ কুমার
এক লক্ষ গাছ পুঁতে নজির গড়লেন বিহারের দিলীপ কুমার
একটি গাছ একটি প্রাণ। এই কথাটি আমরা ক’জন মনে রাখি? নগর সভ্যতা গড়ে তোলার জন্য আমরা একে একে সবুজকে ধ্বংস করে চলেছি। কিন্তু আমাদের মধ্যেই এমন একজন রয়েছেন যিনি কঠিন পাহাড়ের গায়ে গাছ লাগিয়ে সেই পাহাড়কে সুবজ করে তুলেছেন। বিহারের দিলীপ কুমার সিকান্দার মনে করিয়ে দেন বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের আরণ্যকের কথা।
গয়ার
ব্রাহ্মণী
পাহাড়কে
একাই
লক্ষ
গাছ
লাগিয়ে
সবুজ
করে
তুলছেন
দিলীপ
কুমার।
প্রত্যেকটি
গাছের
নাম
শহিদ
ও
স্বাধীনতা
সংগ্রামীদের
নামে।
তিনি
জানান,
১৯৮২
সাল
থেকে
তিনি
রোজ
এই
পাহাড়ে
আসেন
এবং
একটি
করে
গাছের
চারা
রোপণ
করেন।
৫৪
বছরের
দিলীপ
কুমার
বলেন,
'আমি
যখন
অনেক
ছোট
তখন
বাবার
সঙ্গে
ব্রাহ্মণী
পাহাড়ে
আসতাম।
বাবাকে
জিজ্ঞাসা
করতাম
এই
পাহাড়ে
কোনও
গাছ
নেই
কেন,
বাবা
উত্তরে
জানাতেন
যে
গয়ায়
এমন
অনেক
পাহাড়
রয়েছে
যেখানে
গাছ
নেই।
তারপর
থেকে
সিদ্ধান্ত
নিই
এই
পাহাড়কে
সবুজে
ভরিয়ে
দেব।’
বিহারের উপ–মুখ্যমন্ত্রী সুশীল কুমার মোদী যখন গয়ায় এসেছিলেন তখন তিনি ব্রাহ্মণী পাহাড়কে বনাঞ্চল ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছিলেন কিন্তু তারপর আর কথা এগোয়নি। প্রধানমন্ত্রীকেও এ বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু সেখান থেকেও সাড়া মেলেনি। প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালে পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে বৃক্ষ রোপণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ভাষণে জানিয়েছিলেন, বিহারে ১৫ শতাংশ সবুজ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে দিলীপ কুমারের কথা সম্পূর্ণ আলাদা। তিনি এই পাথুরে পাহাড়কে সবুজে পরিণত করতে বদ্ধ পরিকর।