তরুণ প্রজন্মকে দিশা দেখাতে পারে ডিজিটাল গেমিংয় সেক্টর! আত্মনির্ভর ভারত গড়তে নতুন দিশা মোদীর
তরুণ প্রজন্মকে দিশা দেখাতে পারে ডিজিটাল গেমিংয় সেক্টর! আত্মনির্ভর ভারত গড়তে নতুন দিশা মোদীর
করোনা ধাক্কায় আর্থিক সঙ্কটের মধ্যেই আত্মনির্ভর হওয়ার ডাক দিয়ে একাধিক তরুণ প্রজন্মকে স্বনির্ভরতার পথে এগোতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মোদীর মতে, দেশের নবপ্রজন্মের উচিত রূপকথা ও দেশীয় সংস্কৃতির ব্যবহারে নতুন ডিজিটাল গেম তৈরি করা যা আন্তর্জাতিক বাজারে মান্যতা পাওয়ার যোগ্যতা রাখে। এই খাতেও আগামীতে একটি নতুন সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে বলে ভারত প্রধানের মত।
'এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত' ট্যাগলাইনের ব্যবহার
শনিবার একটি ভার্চুয়াল মিটিংয়ে দেশীয় পদ্ধতিতে খেলনা উৎপাদন বৃদ্ধির কথাও জানান মোদী। পাশাপাশি টুইট বার্তায় মোদী জানান, "আমাদের উচিত ভারতীয় সংস্কৃতিকে প্রাধান্য দেওয়া এবং সেক্ষেত্রে ভারতীয় সৃষ্টিশীলতাকে তুলে ধরার লক্ষ্যে খেলনা ও গেমিং সেক্টর একটি সেরা মাধ্যম হয়ে উঠতে পারে।" মোদী জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই ভিন্ন ভিন্ন খেলনা প্রস্তুতকারী সংস্থার সাথে আলাপচারিতা সেরে ফেলেছেন তিনি।
শারীরিক ও মানসিক কসরত হবে এমন খেলনার দিকে নজর
শনিবারের অপর এক ট্যুইটে প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, "আমি সমস্ত স্টার্টআপ ও নতুন বিনিোগকারীদের কাছে আর্জি জানাচ্ছি, যাতে মানসিক কসরৎ হয় এমন খেলনা প্ৰস্তুত করার দিকে নজর দেওয়া হয়।। তাছাড়া পরিবেশবান্ধব খেলনা সামগ্রী প্রস্তুতের কথাও মাথায় রাখা হচ্ছে।" এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী জানান, মগজকে চালু রাখার জন্য প্রস্তুত এই সকল খেলনা বিভিন্ন অঙ্গনওয়ারীতে সরবরাহ করবে সরকার। বিশেষজ্ঞদের মতে, এক্ষেত্রে সফল হলে বাচ্চাদের সামগ্রিক বিকাশে সহায়ক হয়ে উঠবে এই সব খেলনা।
শিশুদের উন্নতির লক্ষ্যে পদক্ষেপ
বিশেষজ্ঞদের মতে, মানসিক চেতনার কার্যকারিতাকে শক্তিশালী করতে এমন ধরনের খেলনার প্রয়োজন যা শিশুমনকে সহজে আকৃষ্ট করবে, আবার কিছু শিক্ষাও দেবে। এই লক্ষ্যেই এগোচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। আগামীতে ভিন্ন ভিন্ন খেলনা প্রস্তুতকারক গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ করে সরকারি শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে পাকাপাকিভাবে মগজাস্ত্র খেলনার ব্যবহারকে চূড়ান্ত করতে চাইছে মোদী সরকার।
ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল গেমিংয়ের বাজারের শরিক হতে চায় ভারত
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মতে, বর্তমানে ডিজিটাল গেমিংয়ের মত ক্ষেত্র বেশ সম্ভাবনাময় এবং তাই এই ক্ষেত্রে ভারতের উচিত তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে দেওয়া। নীতিন গড়করি এবং স্মৃতি ইরানিরাও উপস্থিত ছিলেন এই ডিজিটাল আলোচনাসভায়। সূত্রের মতে, সেখানেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সহমত হয়ে দেশের আঞ্চলিক খেলনা প্রস্তুতকারকদের উন্নতির লক্ষ্যে পদক্ষেপ নিতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। যদিও অনেকের মতেই, প্রধানমন্ত্রীর অন্যান্য একাধিক ভোট কৌশলের মতো আগামীতে 'আত্মনির্ভর ভারত'-ও বিজেপির ভোটের অন্যতম অস্ত্র হাতে চলেছে।
ফের মমতার প্রশাসনকে আক্রমণ! রাজনীতির খাঁচায় বন্দি পুলিশ ও প্রশাসন, খোঁচা ধনখড়ের