দুটি ছবির তুলনাতেই খোঁজ মেলে বিক্রমের, কী পার্থক্য ছিল ছবিগুলিতে?
একটা খুব হাল্কা উজ্জ্বল কণিকা। খুবই ছোট। বিষয়টা রীতিমতো খরের গাদায় ছুঁচ খোঁজার মতো। তবে সেই সূক্ষ্ম উজ্জ্বল কণিকাটি পার্থক্য গড়ে দেয় দুই ছবির মধ্যে। এর ফলেই প্রায় দুই মাস পরে খুঁজে পাওয়া যায় চন্দ্রযান-২ এর ল্যান্ডার বিক্রমের ধ্বংসাবশেষ।

চেন্নাইতে বসেই বিক্রমের সন্ধান শুরু
চেন্নাইয়ের ইঞ্জিনিয়র শানমুগা সুব্রহ্মমণ্যমের সাহায্যে বিক্রমের ধ্বংসাবশেষের খোঁজ মেলে। তিনি বলেন, 'আমি ২ বর্গকিলোমিটার জায়গাকে নির্দিষ্ট করে সেখানেই বিক্রমের সন্ধান শুরু করি। এই কাজ করতে আমি শুধু আমার ল্যাপটপ ব্যবহার করেছি এবং সমস্ত ছবি ধরে ধরে অনুসন্ধান চালিয়েছি।'

ব্যখ্যা সমেত টুইট করেন শানমুগা
তিনি আরও বলেন, 'আমার দুটি ল্যাপটপে এই দুটি ছবি পাশাপাশি রেখে আমি তুলনা করি। একটি ল্যাপটপে পুরনো ছবি ছিল এবং অন্যটিতে নাসার প্রকাশিত নতুন ছবি ছিল।' এরপর , ৩ অক্টোবর নাসা ও ইসরোকে ট্যাগ করে টুইট করেন শানমুগা। লেখেন, 'এটাই কি বিক্রম ল্যান্ডার? অবতরণের জায়গা থেকে ১ কিলোমিটার দূরত্বে মনে হচ্ছে যেন এখানে অবতরণ করতে গিয়েই চাঁদের জমিতে ভেঙে পড়েছে সেটি?' ১৭ নভেম্বর, ক্র্যাশ সাইটের আরও দুটি ছবি সহ আরও বিস্তারিত ব্যাখ্যা করে টুইট করেন তিনি।

৩ মাস পরে আজ জানা যায় বিক্রমের পরিণতি
চন্দ্রযান ২-এর বিক্রম ল্যান্ডার চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪০০ মিটার দূরেই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় ভারতী মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরোর সঙ্গে। ফলে জল্পনা শুরু হয় যে , বিক্রম সম্ভবত নিস্তেজ হয়ে পড়ে রয়েছে চন্দ্র পৃষ্ঠে। ততক্ষণে চাঁদের দক্ষিণপ্রান্তে ঘনিয়ে আসে দীর্ঘ 'রাত'। ফলে বিক্রমের পরিস্থিতি কী তা নিয়ে কৌতূহল বাড়তে থাকে। সেই ঘটনার প্রায় ৩ মাস পরে নাসা আজ জানিয়ে দিল ইসরোর চন্দ্রযান-২ এর বিক্রম ল্যান্ডারের শেষ পরিণতি কী হয়েছিল।