
মিড–ডে মিলে পড়ুয়াদের রুটি–নুন খাওয়ানোর খবর ফাঁস করে শিরোনামে আসা সাংবাদিক প্রয়াত
মনে আছে সেই সাংবাদিকের কথা, যিনি ২০১৯ সালে উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুর জেলায় সরকারি স্কুলে পড়ুয়াদের মিড–ডে মিলে রুটি ও নুন দেওয়ার বিষয়টি প্রকাশ্যে এনেছিলেন, সেই পবন জয়সওয়াল প্রয়াত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার মুখের ক্যান্সারে মারা গেলেন এই সাংবাদিক।

দীর্ঘ দিন ধরেই ক্যান্সারের সঙ্গে যুদ্ধ করছিলেন পবন জয়সওয়াল। চিকিৎসার জন্য একটি ক্রাউন্ড ফান্ডিংয়ের আবেদনও করা হয়েছিল। পবন নিজেও টুইট করে যোগী আদিত্যনাথ, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ও অখিলেশ যাদবের সাহায্য চেয়েছিলেন। পবন একজন ফ্রিল্যান্সার সাংবাদিক হিসেবেই কাজ করতেন। আপ সাংসদ সঞ্জয় সিং সহ অনেকেই এই সাংবাদিককে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছিলেন। মৃত্যুর আগে যখন তিনি দুরারোগ্য রোগের চিকিৎসার জন্য অর্থ সংগ্রহ করছেন সেই সময় জয়সওয়ীল যোগী আদিত্যনাথ, সপা প্রধান অখিলেশ যাদব ও কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে ট্যাগ করে টুইটে লিখেছিলেন, 'জীবনে আমরা সততার সঙ্গে সাংবাদিকতা করেছি, আমরাই প্রকাশ্যে এনেছি শিশুদের রুটি–নুন খাওয়ানো হচ্ছে। কিন্তু এখন আমি আশা হারিয়েছি। এখন আমার অর্থের প্রয়োজন চিকিৎসার জন্য। আমি ক্যান্সারে আক্রান্ত। আমায় সাহায্য করুন।’
দলটাকেই তুলে দেবেন? উদয়ন-রবীন্দ্রনাথকে ভর্ৎসনা মমতার! সতর্ক করলেন মদনকেও
২০১৯ সালে শিশুদের মিড–ডে মিলে রুটি–নুন দেওয়ার ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার অপরাধে জয়সওয়ালের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। মিড–ডে মিলের ঘটনাটি ঘটে মির্জাপুর জেলার শিউরে। তবে তদন্তের পর তাঁকে ছাড় দেওয়া হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। ভিডিও ভাইরাল হওয়ার ঠিক এক সপ্তাহ পরে, ৩১ অগাস্ট ওই জেলার হিনৌতা গ্রামের গ্রাম প্রধানের প্রতিনিধি রাজকুমার পাল এবং জয়সওয়ালের বিরুদ্ধে মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়েছিল। এডিটরস গিল্ড অফ ইন্ডিয়াও উত্তর প্রদেশ সরকারের তীব্র নিন্দা করেছিল। সাংবাদিকদের হয়রান না করার আবেদন জানানো হয়েছিল। অন্যদিকে বিজেপি নেতা মনোজ তিওয়ারি তখন বলেছিলেন যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বাধীন উত্তরপ্রদেশ সরকারের উচিৎ দুর্নীতি ফাঁস করার জন্য পবন জয়সওয়ালকে ধন্যবাদ জানানো।