প্রতিদিন অযোধ্যা মামলা শুনানির সময় নেই, জম্মু-কাশ্মীর মামলা নিয়ে কড়া সিদ্ধান্ত শীর্ষ আদালতের
অযোধ্যা মামলার শুনানিতে অত সময় নষ্ট করা যাবে না। প্রতিদিন অযোধ্যা মামলার শুনানি সম্ভব নয়, সোমবার এমনই কঠোর সিদ্ধান্তের কথা জানালেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ।
অযোধ্যা মামলার শুনানিতে অত সময় নষ্ট করা যাবে না। প্রতিদিন অযোধ্যা মামলার শুনানি সম্ভব নয়, সোমবার এমনই কঠোর সিদ্ধান্তের কথা জানালেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। কয়েকদিন আগেই শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ জানিেয় দিয়েছিল যে ১৮ অক্টোবরের মধ্যে অযোধ্যা মামলার শুনানি শেষ করতে হবে। তারপরে আবার এই নির্দেশিকায় অযোধ্যা মামলা নিয়ে শীর্ষ আদালতের কড়া মনোভাবের কথাই প্রকাশ পেয়েছে।
প্রতিদিন অযোধ্যা মামলার শুনানি সম্ভব নয়
সোমবার আরও একটি চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছে সুপ্রিমকোর্ট। এদিন শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, প্রতিদিন অযোধ্যা মামলার শুনানি সম্ভব নয়। এর আগে ১৮ অক্টোবরের মধ্যে অযোধ্যা মামলার শুনানি শেষ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি। কারণ তিনি জানিয়েছেন এর থেকে বেশি সময় অযোধ্যা মামলায় দেওয়া যাবে না। কারণ আরও মামলা পড়ে রয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। সেগুলির শুনানি হওয়া জরুরি।
কাশ্মীর মামলার শুনানি শেষ করার নির্দেশ
অন্যদিকে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপের পর এর বিরোধিতা করে একাধিক মামলা করা হয়েছে। সেই মামলাগুলিও দীর্ঘদিন ধরে দফায় দফায় শুনানি হয়ে চলেছে। আগামী কালের মধ্যে সেই মামলাগুলির শুনানি শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানবিচারপতি। আগামিকাল বিচারপতি এন ভি রমন্নার নেতৃত্বে গঠিত পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে করা সব আবেদনের শুনানি শেষ হবে। একই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টে ফারুক আবদুল্লার গৃহবন্দি থাকার বিরোধিতার বিরুদ্ধে করা রাজ্যসভা সাংসদ ভিকোসের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। কারণ জন সুরক্ষা আইনের আওতায় ফারুক আবদুল্লাকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। এমনই জানিয়েছিল কেন্দ্র।
কাশ্মীর ৩৭০ ধারা বিলোপ নিয়ে আদালতে আবেদন
গত ৫ অগস্ট কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। সঙ্গে কাশ্মীরের সব রাজনৈতিক নেতাকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়। এর প্রতিবাদ জানিয়ে শীর্ষ আদালতে একাধিক আবেদন জমা পড়েছিল। সেই আবেদনের শুনানিতে প্রথমে কেন্দ্রের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল কেন কাশ্মীরের নেতাদের আটকে রাখা হয়েছে। শীর্ষ আদালতের এই কৈফিয়ত তলবের পর কেন্দ্র জানায় ফারুক আবদুল্লা সহ উপত্যকার রাজনৈতিক নেতাদের জন সুরক্ষা আইনের আওতায় গৃহবন্দি রাখা হয়েছে। অর্থাৎ তাঁদের এবং কাশ্মীর বাসীর নিরাপত্তার কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
কাজেই কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের পর আর আবেদনের তেমন গুরুত্ব থাকে না। সেকারণেই এই আবেদন গুলির শুনানি আর বেশিদিন টানতে চায় না শীর্ষ আদালত। সেকারণেই েই চরম নির্দেশ বলে মনে করা হচ্ছে।
['এটা জেহাদ, ঈশ্বরকে খুশি করতে এটা আমরা করছি ' , কাশ্মীর নিয়ে ফের গর্জন ইমরানের ]
[ চাই বুথভিত্তিক সংগঠন! মমতার বিরুদ্ধে কোনও কথা শুনবেন না বিজেপিতে বাংলার জামাই]