ধরমপাল গুলাটি থেকে এমডিএইচ মশলার দাদাজী, শেষ হল এক বর্ণময় জীবন
ধরমপাল গুলাটি থেকে এমডিএইচ মশলার দাদাজী, শেষ হল এক বর্ণময় জীবন
করোনাকে
সঙ্গী
করে
মৃত্যুকেই
যেন
একমাত্র
দোসর
বানিয়েছে
২০২০।
বিনোদন
হোক
বা
রাজনীতি,
ক্রীড়া
হোক
বা
সাহিত্য,
চলতি
বছরেই
ইহলোক
ত্যাগ
করেছেন
দেশের
একাধিক
খ্যাতনামা
ব্যক্তিত্ব।
এবার
হৃদরোগে
আক্রান্ত
হয়ে
চলে
গেলেন
এমডিএইচ
মশলার
'দাদাজি’
ধরমপাল
গুলাটি।
৯৮ বছরে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ
মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৯৮ বছর।বৃহস্পতিবার সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।সূত্রের খবর, বার্ধক্যজনিত শারীরিক অসুস্থতায় দীর্ঘদিন থেকেই শয্যাশায়ী ছিলেন দেশীয় মশলার দুনিয়ার বেতাজ বাদশা ধরমপাল। অবশেষে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করলেন 'দাদাজি’ বা 'মহাশয়জি’ নামে পরিচিত ধরমপাল।
৬০ বছর আগেই প্রথম ব্যবসার সূচনা
এদিকে টিভির বিজ্ঞাপন হোক বা মশলার প্যাকেট, ধরমপালের ছবির সঙ্গে আমরা সকলেই কমবেশি পরিচিত। এমনকী দেশীয় বাজারে এমডিএইচ মশলা সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছেছিল এই ধরমপালের হাতেই।যদিও পারিবারিক মশাল ব্যবসার সূচনা ধরমপালের বাবা চুনিলাল গুলাটির হাতে। আজ থেকে প্রায় ৬০ বছর আগে জীবনের প্রথমার্ধে শিয়ালকোটের এক ছোট্ট দোকান থেকেই হাতে খড়ি চুনিলালের। আর তারপর আর কখনওই পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
১০০টি দেশে রপ্তানি হয় এমডিএইচ মশালা
অন্যদিকে, ছোট থেকেই বাবার হাত ধরেই ব্যবসায়িক জীবনে হাতে খড়ি।পরবর্তীতে পারিবারিক ব্যবসার সাথে তিলে তিলে নিজেকে খাপ খাইয়ে নেওয়া। এমনকী জীবনের শেষ লগ্নে এসে নব্বইয়ের কোঠাতেও নিয়মিত কারখানা, বাজার এমনকী ডিলারদের ঘাঁটিতে ঢুঁ মারতেন তিনি। বিরামহীন ব্যবসার খুঁটিনাঁটি নিয়েও প্রত্যহ খোঁজখবর রাখতেন। ক্রমে দেশজুড়ে ১৫টি কারখানা এবং ১০০০ ডিলার রয়েছে এমএইচডি-র।
পঞ্চম শ্রেণিতেই পড়াশোনার পাঠ চুকিয়ে দেন ধরমপাল
অন্যদিকে বর্তমানে প্রায় ১০০টি দেশে পণ্য রপ্তানি করা হয় এমডিএইচ মশালার তরফে।পাশাপাশি দুবাই ও লন্ডনেও রয়েছে তাদের অফিস।এমডিএইচের মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ১৫০০ কোটি টাকা। এদিকে ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত পড়ে আর পড়াশোনা করেননি ধরমপাল। তখন থেকেই বাবার হাত ধরে ধীরে ধীরে ব্যবসায়িক জীবনে প্রবেশ। আর দীর্ঘ অধ্যাবসায় ও একনিষ্ঠতার কারণেই এই ধরমপালই একসময়ে হয়ে ওঠেন দেশের সবচেয়ে দামি কোম্পানির নামী সিইও।
শুভেন্দু পর্বে কি হাল ছেড়ে দিল তৃণমূল! সৌগতর পাল্টা মেসেজ ঘিরে সরগরম রাজ্য রাজনীতি