'ইশরত জাহান মামলায় নরেন্দ্র মোদীকেও গোপনে জেরা করা হয়', ভানজারার স্বীকারোক্তিতে নতুন করে চাঞ্চল্য
ইশরত জাহান ভুয়ো এনকাউন্টার মামলা যা শুধু গুজরাত নয়, সারা দেশে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিল। সেই ঘটনা নিয়ে নতুন করে স্বীকারোক্তি সামনে এল প্রাক্তন আইপিএস অফিসার ডিজি ভানজারার বয়ানে।
ইশরত জাহান ভুয়ো এনকাউন্টার মামলা যা শুধু গুজরাত নয়, সারা দেশে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিল। সেই ঘটনা নিয়ে নতুন করে স্বীকারোক্তি সামনে এল প্রাক্তন আইপিএস অফিসার তথা এই মামলায় অভিযুক্তের তালিকায় থাকা ডিজি ভানজারার বয়ানে।
ভানজারা দাবি করেছেন, ইশরত জাহান মামলায় নরেন্দ্র মোদীকেও গোপনে জেরা করা হয়েছিল। সেইসময়ে তিনি গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। মামলার তদন্তকারী অফিসার মোদীকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন। একইসঙ্গে ভানজারার দাবি, এই ধরনের ঘটনা কোনও সরকারি ফাইলে নথিবদ্ধ নেই। ভানজারা একসময়ে মোদীর খুব কাছের পুলিশ অফিসার ছিলেন। তার এই বয়ানে ফের নতুন করে মোদীর অস্বস্তি তৈরি হল বলেই মনে করা হচ্ছে।
এই ঘটনার পর কংগ্রেস সহ বিরোধীরা মোদীকে কাঠগড়ায় তুলেছিলেন। ভানজারা মোদীকে দোষারোপ না করলেও নাম টেনে এনে ফের শোরগোল ফেলে দিয়েছেন। এই মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে আদালতে আবেদন করেছেন ভানজারা। ভুয়ো এনকাউন্টার বলে যে ঘটনা বলা হচ্ছে সেটা মিথ্যা বলেও তার দাবি। নরেন্দ্র মোদীকে ফাঁসাতে নানা দিক থেকে চেষ্টা হয়েছিল বলে চিঠিতে লিখেছেন ভানজারা। তার আপিলের প্রেক্ষিতে সিবিআইয়ের জবাব ২৮ মার্চের মধ্যে চেয়েছে আদালত।
প্রসঙ্গত ২০০৪ সালের ১৫ জুন মুম্বইয়ের বাসিন্দা ১৯ বছরের ইশরত জাহান, জাভেদ শেখ, আমজাদালি আকবারলি রানা ও জিশান জোহরকে এনকাউন্টাকর করে মারে পুলিশ। সেটাই পরে ভুয়ো বলে অভিযোগ ওঠে। গুজরাত পুলিশ দাবি করে, এরা সন্ত্রাসবাদী এবং মোদীকে মারতে এসেছিল। এই মামলা বিজেপি নেতা অমিত শাহকেও অভিযুক্ত হয়ে জেল খাটতে হয়েছিল।
ভানজারা এর আগে শেখ সোহরাবুদ্দিন ও তুলসীরাম প্রজাপতি ভুয়ো এনকাউন্টার মামলাতেও জড়িয়ে ছিলেন। গতবছরে এই দুটি মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন।