রায় ঘোষণার আগেই অযোধ্যার রামলাল্লা মন্দিরে ভক্তদের ভিড়
শনিবার ঘোষণা করা হবে বহু প্রতিক্ষিত অযোধ্যা বিবাদ মামলার রায়। আগামী মঙ্গলবার অযোধ্যায় হিন্দু ধর্মীয় অনুষ্ঠান উপলক্ষে আরও লক্ষাধিক ভক্তের সমাগম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
শনিবার ঘোষণা করা হবে বহু প্রতিক্ষিত অযোধ্যা বিবাদ মামলার রায়। এদিকে রায় ঘোষণার আগেই রামলাল্লা মন্দিরে ভির জমাতে শুরু করেছেন ভক্তরা। আগামী মঙ্গলবার অযোধ্যায় হিন্দু ধর্মীয় অনুষ্ঠান উপলক্ষে আরও লক্ষাধিক ভক্তের সমাগম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রায় ঘোষণা ঘিরে নিরাপত্তার ঘেরাটোপে পুরো অযোধ্যা। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক বলে আস্বস্ত করেছেন অযোধ্যার এডিজি আশুতোষ পান্ডে।
অযোধ্যার দায়িত্বে থাকা উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এডিজি অশুতোষ পান্ডে এই বিষয়ে বলেন, "এলাকার সব মার্কেট এখন খোলা রেয়েছে। পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক। ৬০ কম্পানি প্যারামিলিটারি ফোর্স মোতায়েন করা আছে এলাকায়। পাশাপাশি রেল পুলিশ ও পিএসি-র ১২০০ জন কনস্টেবলও মোতায়েন রয়েছেন। এছাড়াও পুলিশের ২৫০জন সাব ইনস্পেক্টর, ২০জন ডিএসপি ও দুই জন এসপি রয়েছেন অযোধ্যায়। দুটি স্তরে ব্যারিকেড তৈরি করা হয়েছে। মাইক বসানো হয়েছে জায়গায় জায়গায়। ৩৫টি সিসিটিভি ও ১০টি দ্রোন-এর মাধ্যমে আমরা এলাকায় নজরদারি রাখছি।"
অযোধ্যা মামলার রায় নিয়ে যাতে কোনও অশান্তির পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয় তার জন্য আগেই গাজিয়াবাদে ১৪৪ ধারা জারি করে দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া অযোধ্যা, মথুরা, বারাণসী সহ উত্তরপ্রদেশের বেশ কিছু শহরে কড়া সতর্কতা জারি করা হয়েছে। অযোধ্যা, বারাণসী ও মথুরার মতো গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় স্থানের নিরাপত্তা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। অযোধ্যা রায়কে মাথায় রেখে পুলিশ-প্রশাসনের ছুটি বাতিল করা হয়েছে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। গোটা রাজ্য জুড়ে আঁটোসাটো নিরাপত্তা ব্যবস্থার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। প্রয়োজনে রাজ্যজুড়ে এনএসএ (ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট) লাগু করা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের ডিজিপি ওপি সিং।
দীর্ঘ ৪০ দিনের টানা শুনানির পর ১৬ অক্টোবর অযোধ্যা মামলার শুনানি শেষ হয়। এরপর ৪০ দিন স্থগিত রাখা হয়েছিল রায়দান। অযোধ্যা মামলার রায়ের দিন যত এগিয়ে আসছিল তত বেড়েছে এই মামলা ঘিরে উত্তেজনা।
এদিকে সব রাজনৈতিক নেতাই শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। এই বিষয়ে তাদের কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বিশেষ নির্দেশিকা জারি করেছে আরএসএস ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। দুই দলেরই শীর্ষ স্থানীয় নেতারা তাদের কর্মীদের শান্তি বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছে। দুটি হিন্দু সংগঠনই তাদের কর্মীদের বলেছে যে রায়দানের পর আনন্দ করতে তারা মন্দিরে যেতে পারেন বা মিষ্টি বতরণ করতে পারেন। কিন্তু কোনও রকম স্লোগান দেওয়া থেকে তাদের বিরত থাকতে বলা হয়েছে।