'বালাসাহেব আমাদের আত্মমর্যাদার পাঠ দিয়েছিলেন', সেনা প্রতিষ্ঠাতার মৃত্যুবার্ষিকীতে টুইট ফড়নবিশের
'বালাসাহেব আমাদের আত্মমর্যাদা পাঠ দিয়েছিলেন', সেনা প্রতিষ্ঠাতার সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকীতে টুইট ফড়নবিশে
বালাসাহেব ঠাকরের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ বিজেপি নেতা তথা মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। এনডিএ থেকে সদ্য বিচ্ছেদ হওয়া শিবসেনার প্রতিষ্ঠাতার প্রশংসা করতে গিয়ে দেবেন্দ্র ফড়নবিশ বলেন, "বালাসাহেব আমাদের আত্মমর্যাদা বজায় রাখার শিক্ষা দিয়েছিলেন।"
|
সেনা-বিজেপি ভাঙন
শিবসেনা প্রতিষ্ঠাতা তথা বর্তমানে সেনা প্রধান উদ্ধাব ঠাকরের বাবা বালাসাহেবের একটি ভিডিও এদিন টুইটারে পোস্ট করেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। এর আগে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ দেওয়ার সময় দেবেন্দ্র ফড়বিশ শিবসেনার বিরুদ্ধে তোপ দেগে তাদের মিথ্যাবাদী আখ্যা দিয়েছিলেন। পাশাপাশি নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরই সেনার এরকম মনোভাব বদলে তিনি আশ্চর্যচকিত হয়েছেন বলেও উল্লেখ করেছিলেন।
৩০ বছরের শরিকি সম্পর্কে ছেদ
১৯৯৫ সালে প্রথমবার মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন করেছিল সেনা-বিজেপি জোট। সেই সময় মহারাষ্ট্রে জোটের বড় ভাই ছিল সেনা। বর্তমানে চিত্রটা অন্য। সেই পুরোনো প্রতাপ ফিরে পেতে মরিয়া শিব সেনা মুখ্যমন্ত্রিত্বের দাবি করলেও, ফুলে ফেপে ওঠা বিজেপি সেই দাবির তোয়াক্কা করেনি। এর জেরে ৩০ বছরের শরিকি সম্পর্তে ছেদ এসেছে। অনেকের বক্তব্য, বাল ঠাকরে থাকলে মহারাষ্ট্রে এই ভাবে বিজেপি বাড়বাড়ন্ত দেখাতে পারত না।
|
১৯৮৯ প্রথম জোট বেধে নির্বাচন
১৯৮৯ সালের লোকসভা ভোটের আগে প্রথমবার শিবসেনা ও বিজেপি নির্বাচনের আগে জোট গঠনের সিদ্ধান্ত নেন। দুই গেরুয়া পন্থী দলের জোটের ভিত্তি ছিল একই। বিজেপির পক্ষে এই জোট গড়ার মূল ভূমিকায় ছিলেন প্রমোদ মহাজন। তাঁর সঙ্গে শিবসেনার প্রতিষ্ঠাতা বালাসাহেব ঠাকরের সম্পর্ক ছিল বেশ ভালো। তবে আজ দুই দলেরই এই নেতারা গত হয়েছেন। আর দুই দলের সম্পর্ক জোড়া লাগানোর লোকেরও অভাব দেখা দিয়েছে।
এনসিপি ও কংগ্রেসের স্মরণাপন্ন সেনা
মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি পেয়েছে ১০৫টি আসন, শিবসেনার ঝুলিতে এসেছে ৫৬টি আসন। ২৮৮ আসন বিশিষ্ট মহারাষ্ট্র বিধানসভায় সরকার গড়তে প্রয়োজন ১৪৫টি আসন। দুই দলের সম্মিলিত সংখ্যা খুব সহজেই ম্যাজিক ফিগার অতিক্রম করে। কিন্তু সরকার গঠনের ক্ষেত্রে বাধ সাধে সেনার মুখ্যমন্ত্রিত্বের দাবি। এরপরই এনডিএ জোট থেকে বেরিয়ে এসে সেনা এনসিপি ও কংগ্রেসের স্মরণাপন্ন হয়। রাজ্যসভাতেও বিরোধী আসনে বসবে বলে জানিয়ে দিয়েছে সেনা।
মমতার বাংলায় অনুন্নয়নের ছবি! তৃণমূল সাংসদই উন্নয়নপ্রার্থী, চিঠি লিখলেন ফিরহাদকে