বিনাশের পথে হেঁটে ইতিহাস গড়ছে ভারতীয় অর্থনীতি? ফের কেন্দ্রকে প্রশ্নবাণ রাহুল গান্ধীর
মুদ্রাস্ফীতি ও বেকারত্ব নিয়ে আবারও কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনায় সরব হলেন রাহুল গান্ধী৷ বুধবার সকালে এনিয়ে টুইট করেন তিনি। এর কয়েকদিন আগেই অর্থনীতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে তোপ দেগেছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। দেশের অর্থনীতির বেহাল দশা রজন্যে এদিনও কেন্দ্রকে দায়ী করেন রাগুল গান্ধী।

মুদ্রাস্ফীতি কোনওকালেই এত বেশি ছিল না
তাঁর অভিযোগ, মুদ্রাস্ফীতি কোনওকালেই এত বেশি ছিল না৷ এমনকী বেকারত্বের হারও কখনও এত পরিমাণে ছিল না৷ তিনি আরও অভিযোগ করেন, বেকারত্ব ও মুদ্রাস্ফীতির কারণে দিনের পর দিন জনসাধারণের মনোবল ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে পড়ছে এবং সামাজিক ন্য়ায়বিচার প্রতিদিন পদদলিত হচ্ছে।

ব্যাঙ্কগুলি বিপদে রয়েছে
তিনি টুইটারে আরও লেখেন, ব্যাঙ্কগুলি বিপদে রয়েছে এবং জিডিপি-ও৷ মূল্য়বৃদ্ধি কোনওদিন এত বেশি ছিল না, এমনকী বেকারত্বও এত বেশি ছিল না৷ জনসাধারণের মনোবল দিনের পর দিন টুকরো টুকরো হয়ে যাচ্ছে এবং সামাজিক ন্য়ায়কে পিষ্ট করা হচ্ছে ৷ এরপরই তাঁর প্রশ্ন, এটা বিকাশ না বিনাশ?

মন্দায় ডুবতে চলেছে দেশ
এর আগে জিডিপি নিয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এক রিপোর্টের মাধ্যমে জানা গিয়েছিল যে আরবিআই অনুমান করছে যে চলতি বছরের জুলাই-সেপ্টেম্বরের ত্রৈমাসিকে দেশের আর্থিক প্রবৃদ্ধির হার সংকুচিত হবে ৮.৬ শতাংশ। আনলক পর্যায়ে দেশের অর্থনীতির হাল ফেরানোর চেষ্টা চললেও যে তা সফল হয়নি তা স্পষ্ট আরবিআই-এর এই রিপোর্ট থেকে। এর জেরে দেশের ইতিহাসে প্রথমবার মন্দা আসতে চলেছে বলেও আশঙ্কা করা হয়।

ভারতীয় অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে ব্যর্থ
এর আগে করোনা সংক্রমণ রুখতে দেশে লকডাউন জারি হয়েছিল। এই লকডাউনের জেরেই এপ্রিল থেকে জুনের ত্রৈমাসিকে প্রায় ২৩.৯ শতাংশ সংকুচিত হয়ে গিয়েছিল দেশের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন তথা প্রবৃদ্ধির হার। এর পর আনলক পর্ব শুরু হওয়ায় মনে করা হচ্ছিল ভারতীয় অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে। কিন্তু সেই আশা পূর্ণ হয়নি।

২০২১-এর নির্বাচনকে মাথায় রেখে মমতার হয়ে 'উন্নয়নের ঘুঁটি' সাজাচ্ছেন রাজীব সিনহা