দক্ষিণ ভারতে দাঁত ফোটাতে পারেনি বিজেপি, লোকসভাতেও ক্ষমতা থাকবে আঞ্চলিক দলের হাতেই
দক্ষিণে বিজেপি তথা এনডিএ তো বটেই কংগ্রেস তথা ইউপিএ-রও দাঁত ফোটানো বেশ মুশকিল হতে চলেছে।
দক্ষিণ ভারতের পাঁচ বড় রাজ্য। তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলাঙ্গানা ও কেরল। কোনও রাজ্যে এককভাবে এমনকী জোট করেও সরকারে আসতে পারেনি বিজেপি। ২০১৪ সালে মোদী ঝড়ের পরও একের পর এক বিধানসভা ভোট ও উপনির্বাচনে বিজেপি সেভাবে বড় মাত্রায় জয় পায়নি।
কেরলে ক্ষমতা বেড়েছে। তবে ইউডিএফকে সরিয়ে বিজেপি নয় এসেছে এলডিএফ। তামিলনাড়ুতে ক্ষমতা ধরে রেখেছে এআইএডিএমকে। কর্ণাটকে বিজেপি মরণ কামড় দিলেও শেষ মুহূর্তে সরকার গড়ে নিয়েছে জেডিএস-কংগ্রেস জোট। এদিকে অন্ধ্রপ্রদেশে চন্দ্রবাবু নাইড়ুর তেলুগু দেশম পার্টি সরকার ও তেলাঙ্গানায় কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের তেলাঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতির সরকার রয়েছে।
ফলে দক্ষিণে বিজেপি তথা এনডিএ তো বটেই কংগ্রেস তথা ইউপিএ-রও দাঁত ফোটানো বেশ মুশকিল হতে চলেছে। কারণ এবিপি নিউজ ও সি ভোটারের সমীক্ষা বলছে, দক্ষিণ ভারতের মোট ১২৯টি আসনের মধ্যে ২০১৯ লোকসভা ভোটে এনডিএ পেতে পারে মাত্র ২১টি আসন। এছাড়া ইউপিএ পেতে পারে মাত্র ৩২টি আসন।
বাকী ৭৬টি আসন দখল করবে দক্ষিণ ভারতের আঞ্চলিক দলগুলি। যার মধ্যে রয়েছে, টিআরএস, টিডিপি, এআইএডিএমকে, ডিএমকে, জেডিএস, সিপিআইএমের মতো দল।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দক্ষিণ ভারতীয়দের মনের কথা তথাকথিত উত্তর ভারতীয় দলগুলির পক্ষে সেভাবে বোঝা কোনওদিনই সম্ভব নয়। তার উপরে দক্ষিণের রক্ষণশীল মানসিকতা বরাবরই ভূমিপুত্রদের প্রতি সহানুভূতিশীল। ফলে দাক্ষিণাত্য জয় বিজেপির কাছে হিমালয় ডিঙানোর মতোই কঠিন ব্যাপার হতে চলেছে।