শীতকালীন অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন
রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড করা হল তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ ডেরেক ওব্রায়েনকে। শীতকালীন অধিবেশন আর অংশ নিতে পারবেন না তিনি। এর আগে ১২ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। এই নিয়ে সাসপেন্ড হওয়া সাংসদের তালিকা বেড়ে হল ১৩। সেই তালিকায় নাম জুড়ল তৃণমূল কংগ্রেসের আরও এক সাংসদের। এর আগে তৃণমূল কংগ্রেসের শান্তা ছেত্রী এবং দোলা সেনকে সাসপেন্ড করা হয়।

সাসপেন্ড ডেরেক ওব্রায়েন
শীতকালীন অধিবেশনের শেষবেলায় রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড করা হল তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ ডেরেক ওব্রায়েনকে। তাঁর বিরুদ্ধে বিশৃঙ্খল আচরণের অভিযোগ রয়েছে। নির্বাচন সংশোধনী বিলের বিরোধিতায় রুলবুক স্পিরাকের চেয়ারের দিকে ছুরে মারার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এই বিশৃঙ্খল আচরণের জন্যই তাঁকে সাসপেন্ড করা হল বলে জানানো হয়েছে।

কী বললেন ডেরেক
রাজ্যসভা থেকে সাসপেন্ড হওয়ার পর টুইটে ডেরেক ওব্রায়েন লিখেছেন এই হচ্ছে মোদী সরকারের পরিহাস। কৃষি আইনের বিরোধিতা করায় আগে সাসপেন্ড হতে হয়েছিল। এখন ফের সাসপেন্ড হতে হল দেশবাসীর নাগরিক সুরক্ষার অধিকারের জন্য লড়াই করতে গিয়েছে। টুইটে ডেরেক আরও লিখেছেন, বিজেপি নির্বাচন সংশোধনী বিলের মাধ্যমে সংসদকে পরিহাসের জায়গায় পরিণত করেছে। এই বিল দেশের নাগরিকদের নির্বাচনী অধিকারে হস্তক্ষেপ করবে। শীঘ্রই এই বিল প্রত্যাহার করতে মোদী সরকার বাধ্য হবে বলে দাবি করেছেন তিনি।

সাসপেন্ড ১২ সাংসদ
শীতকালীন অধিবেশন শুরুর প্রথম দিনেই ১২ জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়। সেই তালিকায় কংগ্রেস সাংসদদের পাশাপাশি ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদরাও। দোলা সেন এবং শান্তা ছেত্রীকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল।
বাদল অধিবেশনে বিশৃঙ্খল আচরণের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছিল এই ১২ সাংসদকে। এমনই জানিয়েছিলেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান। তিনি জানিয়েছেন সংসদ ভবনের অবমাননা করেছেন এই ১২ জন সাংসদ। তারপরেই তাঁদের সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

উত্তাল সংসদ
১২ সাসংসদের সাসপেনশন প্রত্যাহারের দাবিতে শীতকালীন অদিবেশনের প্রথম দিন থেকেই উত্তাল থেকেছে অধিবেশন। দফায় দফায় সংসদের দুই কক্ষ সাংসদদের বিরোধিতায় মুলতুবি করতে হয়েছে। এই নিয়ে তুমুল অশান্তি তৈরি হয়েছে। কিন্তু কিছুতেই ১২ সাংসদের সাসপেনশন প্রত্যাহার করতে রাজি হয়নি। তিনি বারবার দাবি করেছেন বিন্দুমাত্র অনুশোচনা নেই সাসপেন্ড হওয়া সাংসদদের। যদি সাসপেন্ড হওয়া সাংসদরা প্রত্যেকে চিঠি লিখে ক্ষমা চেয়ে নেন তাহলে তাঁদের সাসপেনশন প্রত্যাহার করা হতে পারে। কিন্তু তাতে রাজি হননি বিরোধীদ দলের সাংসদরা। প্রধানমন্ত্রী মোদী এই নিয়ে বৈঠক ডেকেছিলেন তাতে রাজি হননি বিরোধী দলের সাংসদরা।
