সিরসা আশ্রম চত্বরে পুঁতে রাখা হয় মৃতদেহ, চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি 'ডেরা' মুখপত্রে
বহুদিন ধরেই অভিযোগ ছিল যে হরিয়ানার সিরসায় ধর্ষক রামরহিমের তত্ত্বাবধানে 'ডেরা'র আশ্রমের ভিতরে নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চলছে।
বহুদিন ধরেই অভিযোগ ছিল যে হরিয়ানার সিরসায় ধর্ষক রামরহিমের তত্ত্বাবধানে 'ডেরা'র আশ্রমের ভিতরে নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চলছে। এ নিয়ে ডেরা ছেড়ে চলে আসা বহু সদস্যই সরব হয়েছিলেন। সেসময়ে ডেরার পক্ষে এবিষয়ে মুখ না খোলা হলেও, ডেরায় তল্লাশি অভিযানের আগে ডেরার 'সচ কাহুঁ' নামের মুখপত্রে এর সত্যতা মেনে নেওয়া হয়।
'সচ কহুঁ'-র তরফে জানানো হয়েছে ডেরার মধ্যে বহুজনকেই মেরে ফেলে পুঁতে দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, হরিয়ানায় সিরসার আশ্রমে পুলিশি তল্লাশি অভিযানের ঠিক আগেই এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে ডের কর্তৃপক্ষ। এর আগে, ডেরার অনেক সমর্থক অভিযোগ করেন যে ডেরা প্রধান রামরহিমের কথা যাঁরা মেনে নেনননি বা তাঁর নির্দেশের প্রতিবাদ যাঁরাই করেছেন , তাঁদেরই মেরে ফেলা হয়েছে।
শুধু খুন নয়, ডেরায় পোষা গুণ্ডাদের দিয়ে সেই মৃতদেহগুলিকে ডেরার মধ্যের কিছু জমিতে পুঁতে ফেলাও হয় বলে অভিযোগ। এছাড়াও দেহ দানের প্রতিশ্রুতি দিয়েই ডেরার সদস্য হওয়া যেত। অনেকেরই অভিযোগ ডেরায় বহুজনের অঙ্গ কেটে বাইরে বিক্রি করার ব্যবসাও চলত। সূত্রেরর দাবি, ধরা না পড়ার জন্য ডেরার সদর দফতর থেকে অবৈধ অস্ত্র , নথি, নগদ সরিয়ে ফেলা হয়েছে। তবে সমস্ত রকম অভিযোগ খতিয়ে দেখতে পুলিশ ডেরার ভিতরের সন্দেহজনক এলাকার মাটি খুড়বে বলে খবর।