হিংসা ছড়াতে 'ডেরা' ভক্তদের এই গোপন 'কোড'-এ বার্তা দেওয়া হয়, মিলল চাঞ্চল্যকর তথ্য
'ডেরা সাচা সৌদা' প্রধান রামর রহিম, ধর্ষণের দায়ে দোষী সাব্য়স্ত হওয়ার পর গত শুক্রবারই আগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে হরিয়ানা সহ উত্তর ভারতের বহু এলাকা।
'ডেরা সাচা সৌদা' প্রধান রামর রহিম, ধর্ষণের দায়ে দোষী সাব্য়স্ত হওয়ার পর গত শুক্রবারই আগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে হরিয়ানা সহ উত্তর ভারতের বহু এলাকা। পাঞ্জাবের ভাতিণ্ডাতে ডেরা প্রধানের দোষী সাব্যস্ত হোয়ার খবর পৌঁছতেই যত্রতত্র আগুন লাগানো শুরু হয়ে যায়। পাঞ্জাব পুলিশের দাবি, একটি বিশেষ প্রতিকী শব্দ বা কোড ওয়ার্ড ব্যবহার করে ভক্তদের হিংসা ছড়ানোর জন্য উস্কানি দেয় ডেরা কর্তৃ়পক্ষ।
পাঞ্জাবের এক উচ্চ পদস্থ পুলিশ আধিকারিকের দাবি হিংসা ছড়াবার জন্য ডেরা কর্মীরা ভক্তদের উদ্দেশে বলেন ' টমাটর তোড় দো' অর্থাৎ 'টমেটো তুলে নাও(গাছ থেকে)'। আর এই কোড ওয়ার্ড বা প্রতিকী শব্দ শোনা মাত্রই হিংসা মেতে ওঠেন ডেরা ভক্তরা। পাঞ্জাবের ভাতিণ্ডায় এই প্রতিকী শব্দ ব্যবহারের পাশপাশি, সাঙ্গরুরে ব্যবহার করা হয়েছে," সবজি তৈয়ার হ্যায় ভরতাওনি হ্যায়" অর্থাৎ ' সব্জি তৈরি রয়েছে ,পরিবেশন করো'। এই কথা শোনার পর ,সেখানের ডেরা সমর্থকরাও তাণ্ডব শুরু করে দেয়।
[ডেরায় 'পিতাজি কী মাফি' মানে ধর্ষণ, সেখানে অস্ত্রশিক্ষা নিয়ে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য ]
পাঞ্জাব পুলিশ সূত্রের খবর, রাম রহিমের বিরুদ্ধে রায়দানের প্রেক্ষিতে ডেরার পক্ষ থেকে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে তা নিয়ে আগেই গঠন করা হয় একটি কমিটি। সেখানে চলে বড়সড় হিংসার ষড়যন্ত্র। কমিটিতে জেরার রাজনীতি বিষয়ক কর্মীরা ছিলেন। মোট ৪৫ জনের কমিটি গঠন হয়।
পাঞ্জাবের হিংসার ঘটনায় ৪৪ টি এঅফআইআর নথিবদ্ধ করা হয়। সেই সূত্রে ধরে গ্রেফতার করা হয় ২৩ জন ডেরা সমর্থককে। সেখান থেকেই ডেরার এই ষড়যন্ত্রের পর্দাফাঁস হয়ে যায়। জানা গিয়েছে আগাস্ট ২৫ এর আগে থেকেই সমস্ত ডেরা সমর্থককে হিংসা ছড়ানোর জন্য প্রস্তুত হতে বলা হয়েছিল।