ধর্ষণের দায়ে দোষী সাব্যস্ত গুরমিত রাম রহিমের ১০ বছরের কারাদণ্ডের সাজা
ধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত'ডেরা সচা সৌদা' প্রধান গুরমিত রাম রহিম সিং-কে ১০ বছরের সাজা শোনালসিবিআই-এর বিশষে আদালত।। হরিয়ানার রোহতকের সুনারিয়া জেলে বসেই রাম রহিমকে সাজা শোনানো হয়। জেলেই তৈরি করা
ধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত'ডেরা সচা সৌদা' প্রধান গুরমিত রাম রহিম সিং-কে ১০ বছরের সাজা শোনাল সিবিআই-এর বিশষে আদালত।। হরিয়ানার রোহতকের সুনারিয়া জেলে বসেই রাম রহিমকে সাজা শোনানো হয়। জেলেই তৈরি করা হয় অস্থায়ী আদালত। বিচার প্রক্রিয়ায় মাঝেই নিজের কীর্তি কর্মের জন্য 'ক্ষমা' চেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন রাম রহিম। আদালতে সাজার শুনানি চলাকালীন মোবাইল ফোন বন্ধ করতে বলা হয় সবাইকে। জেলে বিশেষ আদালতের ভিতরে ছিলেন শুধুমাত্র ৪ জন অফিসার। এদিকে, সাজা ঘোষণার আগেই ডেরার সিরসা আশ্রমের কাছে শুরু হয় বিক্ষোভ। সূত্রের খবর, ডেরার তরফে এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করা হবে হাইকোর্টে।
#Haryana: Media persons & security deployment near Rohtak's Sunaria Jail; rape convict #RamRahimSingh sentenced to 10 years of imprisonment. pic.twitter.com/t8X7urDvPg
— ANI (@ANI) August 28, 2017
[রাম রহিমের বিরুদ্ধে চলা তদন্ত ঘিরে বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি সিবিআই আধিকারিকের]
বিচার প্রক্রিয়া শুরুর আগে জেলের অস্থায়ী আদালতে আকাশপথে হেলিকপ্টারে পৌঁছে যান সিবিআই বিচারপতি জগদীপ সিং। বিচার প্রক্রিয়ায় মামলায় দু'পক্ষকেই ১০ মিনিট বক্তব্য রাখার সুযোগ দেওয়া হয়। সূত্রের খবর, রাম রহিমের পক্ষের আইনজীবী সওয়াল করেন যে ধর্মগুরু বহু বহু সমাজসেবামূলক কাজে যুক্ত ছিলেন, পাশপাশি তিনি খুবই অসুস্থ, তাই তার সাজা কিছুটা কমানো হোক। এরপরই সাদা শোনানো হয় রাম রহমিকে। তারপর তার শারীরীক পরীক্ষার পর রাম রহিমকে জেলের কয়েদিদের 'ইউনিফর্ম' পরানো হবে।
Medical examination of #RamRahimSingh is being done, after this he will be given a jail uniform and will be allotted a cell in jail
— ANI (@ANI) August 28, 2017
[ডেরায় 'পিতাজি কী মাফি' মানে ধর্ষণ, সেখানে অস্ত্রশিক্ষা নিয়ে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য ]
#Haryana Special CBI judge Jagdeep Singh reaches Rohtak's Sonaria jail for quantum of sentence hearing of #RamRahimSingh pic.twitter.com/W0SxM40abn
— ANI (@ANI) August 28, 2017
অপরদিকে রাম রহিমকে ভিআইপি খাতির করার জন্য পুলিশকেও ভর্ৎসনা করেছেন বিচারক। হেলিকপ্টারে করে জেলে নিয়ে যাওয়ার সময়ে কেন তাঁকে ভিআইপি যত্ন-আত্তি করা হয়েছে, সেই প্রশ্নও তোলেন বিচারক।
এর আগে শুক্রবার ধর্মগুরু রাম রহিম ধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর, ডেরা ভক্তদের তাণ্ডবে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে হরিয়ানা সহ পাঞ্জাব, গাজিয়াবাদ, দিল্লির নানা অংশ। ঘটনায় মারা যান ৩৭ জন। গ্রেফতার হয় ৫৫২ জন। সেই ঘটনার কথা মাথায় রেখে আজ হরিয়ানা জুড়ে রাখা হয় কড়া নিরাপত্তা। জেলায় মোতায়েন করা হয়েছে ২৮ কোম্পানি আধা সামরিক বাহিনী। রাম রহিমের বিরুদ্ধে নাবালিকা সহ সাধিকাদের ধর্ষণের ও যৌন অত্যাচারের অভিযোগ রয়েছে।
[বিতর্কিত এই ধর্মগুরুদের বিচিত্র গাঁথা আগেও দেখেছে ভারতবাসী, আর কারা রয়েছে সেই তালিকায় ]
উল্লেখ্য, ২০০২ সালে 'ডেরা সাচা সৌদা'-র এক সাধিকা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীকে একটি গুরমিত রাম রহিমের বিরুদ্ধে ধর্ষণর অভিযোগ তুলে চিঠি লেখেন। তাঁর সঙ্গে যোগ দিয়ে বাকি সাধিকারাও ধর্ষণের অভিযোগ তোলেন রাম রহিমের বিরুদ্ধে। সাধিকার দাবি ছিল পাঞ্জাবের রাজনীতিকরা তাঁকে রাম রহিমের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে বারণ করে, তাঁকে ক্রমাগত হুমকি দিচ্ছেন। তাই বাধ্য় হয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখেন। এরপরই স্বতপ্রণোদিতভাবে মামলা ওঠে আদালতে। তারপর গত শুক্রবার বিশেষ সিবিআই আদালতে ধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয় ধর্মগুরু রাম রহিম।