বিধানসভায় মর্যাদা নিয়ে বিভ্রান্তি! ইস্তফা দিলেন মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী
শেষ পর্যন্ত ইস্তফা দিতে বাধ্য হলেন মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার। তিনি মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশের কাছে ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, দেবেন্দ্র ফড়নবিশও ইস্তফা দিতে পারেন বলে জানা গিয়েছে। যদিও অজিত পাওয়ারের ছেলে বাবার ইস্তফার খবর অস্বীকার করেছেন বলে জানা গিয়েছে।

এদিন সকালে অজিত পাওয়ারকে দলে ফেরত আনতে চেষ্টা করে এনসিপি। ছগন ভুজবল, দিলীপ ওয়ালসে পাটিল এবং সুনীল ঠাকরের মতো এনসিপি নেতা উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ারের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁকে উপমুখ্যমন্ত্রীর পদে ইস্তফা দিতেও অনুরোধ করেন তাঁরা।
তার আগে অবশ্য অজিত পাওয়ারের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়। তিনি কি এখনও দলের সঙ্গেই আছেন, কিংবা পরিষদীয় দলনেতা আছেন কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়। কেননা এনসিপির তরফে জয়ন্ত পাটিলকে নতুন পরিষদীয় নেতা হিসেবে ঘোষণা করা হয়। রাজ্য বিধানসভার সেক্রেটারি ইন চার্জ রাজেন্দ্র ভগত জানান, এই সিদ্ধান্ত একমাত্র নিতে পারবেন স্পিকার। তিনি জানান, এনসিপির তরফে পরিষদীয় নেতা নিয়ে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু স্পিকার হরিভাউ বাগাডে এব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন।
গত শনিবার অজিত পাওয়ার দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে উপ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পরেই জয়ন্ত পাটিলকে এনসিপির নতুন পরিষদীয় নেতা বলে ঘোষণা করা হয়েছিল।
২০১৪-১৯ পর্যন্ত বিধানসভার স্পিকার পদে থাকা বিজেপি নেতা বাগাদে এখনও স্পিকার পদেই রয়েচেন। কিন্তু কোনও বিধায়ক এখনও পর্য়ন্ত শপথ নেননি।
যদিও, সাংবিধান বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, যদি এনসিপি অজিত পাওয়ারকে সরিয়ে জয়ন্ত পাটিলকে নিয়োগ করে তাহলে দলের সিদ্ধান্তকেই মান্যতা দেওয়া উচিত। এব্যাপারে স্পিকারের ক্ষমতা থাকলেও, দলে সিদ্ধান্তকে তিনি অমান্য করতে পারেন না বলেও মত তাঁদের।