কেলেঙ্কারির নানা অভিযোগের কাণ্ডারী থেকে মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার
অপ্রত্যাশিত, চমক ধরানো কাণ্ড ঘটাল বিজেপি। সাত সকালে তোলপাড় হয়ে গিয়েছে মহারাষ্ট্রের রাজ্য রাজনীতি।
অপ্রত্যাশিত, চমক ধরানো কাণ্ড ঘটাল বিজেপি। সাত সকালে তোলপাড় হয়ে গিয়েছে মহারাষ্ট্রের রাজ্য রাজনীতি। মুখ্যমন্ত্রী পদে দেবেন্দ্র ফড়নবীশের শপথের থেকেও সকলকে চমককে দিয়েছে এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ারের উপ মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ। এক সঙ্গে ৮ বিধায়ককে নিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তিনি।
ইডির হাত থেকে বাঁচতে
বিধানসভা ভোটের আগেই ইডির নজরে ছিলেন অজিত পাওয়ার। মহারাষ্ট্রের সমবায়িকা ব্যাঙ্কে ২৫,০০০ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগে ইডি তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছিল। আজ সকালে অজিত পাওয়ারের উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথে সেই ইডি কাঁটা নির্মূল হল। এমনই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
২০১০-২০১২ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন অজিত
২০১০ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদ সামলেছেন অজিত পাওয়ার। তাঁর বিরুদ্ধে সেচ দফতরের দুর্নীতির অভিযোগ ছিল। তার প্রতিবাদে অজিত পাওয়ার পদত্যাগ করে বলেছিলেন, নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ না করা পর্যন্ত তিনি কোনও মন্ত্রিত্ব গ্রহন করবেন না। ২০১৪ সালে দেবেন্দ্র ফড়নবীশ মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরেই অজিত পাওয়ারের বিরুদ্ধে সব তদন্ত বন্ধ করে দেন।
বিধানসভা ভোটের আগে ইডির নজরে
মহারাষ্ট্রের বিধানসভা ভোটের ঠিক আগেই অজিত পাওয়ারের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে ইডি। অজিত শুধু নন শরদ পাওয়ার সহ এনসিপির ৭০ জন নেতার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছিল। সেসময় অজিত পাওয়ার বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করেন। শরদ পাওয়ারের সময় তখন থেকেই মনোমালিন্য তৈরি হয়েছিল অজিতের। তারপরেই এই চরম পদক্ষেপ বলে জানানো হয়েছে।