বাতিল নোটের ৮০ শতাংশই জমা পড়েছে ব্যাঙ্কে, নোট বাতিলের সাফল্য নিয়ে উঠছে প্রশ্ন
মোট যে পরিমাণ টাকা সিস্টেমের মধ্যে ঘোরাঘুরি করছিল তার ৮৬ শতাংশ হল এই ১৪.১৮ লক্ষ কোটি টাকা। এর ৮০ শতাংশ টাই হল ১১ লক্ষ কোটি টাকা যা ইতিমধ্যেই ব্যাঙ্কে জমা পড়েছে।
নয়াদিল্লি, ৯ ডিসেম্বর : গত ৮ নভেম্বর ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিলের কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এরপর থেকে ব্যাঙ্কে বাতিল নোটে ১১ লক্ষ কোটি টাকা জমা পড়েছে। আরবিআই-এর তথ্য অনুযায়ী, মার্চ ২০১৬ পর্যন্ত বাজারে ৫০০ ও ১০০০ টাকা নোটের ১৪.১৮ লক্ষ কোটি টাকা মজুত ছিল।
অর্থাৎ মোট যে পরিমাণ টাকা সিস্টেমের মধ্যে ঘোরাঘুরি করছিল তার ৮৬ শতাংশ হল এই ১৪.১৮ লক্ষ কোটি টাকা। এর ৮০ শতাংশ টাতাই হল ১১ লক্ষ কোটি টাকা যা ইতিমধ্যেই ব্যাঙ্কে জমা পড়ে গিয়েছে।
নোট বাতিলের ঘোষণার সময় সরকার বলেছিল কালো টাকার দুর্নীতি রুখতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যদিও সাম্প্রতির এই অঙ্কের হিসাব স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন তুলছে নোট বাতিলের সাফল্য নিয়ে। এখনও ব্যাঙ্কে নোট বদলের সময়সীমায় আরও প্রায় ২০ দিন বাকি রয়েছে। এই বাতিল নোট জমা পড়ার অঙ্কটা ৮০ থেকে বেড়ে ৯০ শতাংশ হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
আরবিআই জানিয়েছিল, ১০ থেকে ২৭ নভেম্বরের মধ্যে ব্যাঙ্কে এসে গ্রাহকরা যে পরিমান পুরনো নোটের বদলে নতুন নোট বদলে নিয়ে গিয়েছেন তার পরিমাণ ৮.৪৫ লক্ষ কোটি টাকা। ২৮ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর এসবিআই-এর তথ্য অনুযায়ী, ব্যাঙ্কে টাকা জমা দেওযার পরিমান বেড়ে ২২,০০০ কোটি হয়। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, আশা করা হচ্ছে ১০ লক্ষ কোটি টাকা ব্যাঙ্ক জমা হিসাবে সরকারের কাছে ফিরে আসতে পারে। আর তাতেই প্রশ্ন উঠতে তাহলে আদৌ কি পুরো পক্রিয়াটির যৌক্তিকতা সার্থক হয়েছে?
যদিও সাধারণ মানুষের সিংহভাগই সরকারের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন, কিন্তু এটিএম-এ টাকার অমিল, নোট সমস্যার জেরে মানুষকে চূড়ান্ত ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়।