বিশেষ ট্রেনেই রওনা হলেন অযোধ্যার উদ্দেশ্যে, একনজরে রাষ্ট্রপতির অযোধ্যা সফরের খুঁটিনাটি
বিশেষ ট্রেনেই রওনা হলেন অযোধ্যার উদ্দেশ্যে, একনজরে রাষ্ট্রপতির অযোধ্যা সফরের খুঁটিনাটি
চারদিনের সফরে উত্তরপ্রদেশ গিয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। যদিও তাঁর সফর ঘিরে শুরু থেকেই মাথাচাড়া দিয়েছে একাধিক বিতর্ক।এদিকে শুরু থেকেই রাষ্ট্রপতির সফরের মধ্যেই সবথেকে উল্লেখযোগ্য কর্মসূচি হিসাবে তাঁর অযোধ্যা যাত্রার কথা শোনা যাচ্ছিল। ভারতের ইতিহাসে রাষ্ট্রপতির এই ধরনের ট্রেন যাত্রা কার্থ বেনজির বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। অবশেষে রবিবার ট্রেনে করে লখনউ থেকে অযোধ্যা যাত্রা করলতে দেখা গেল কোবিন্দকে।
সকাল ৯টা নাদাগ লখনৌয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হন তিনি
এদিকে
এদিনই
তিনি
এখানে
রামায়ণ
কনক্লেভ
এবং
পর্যটন
উন্নয়নের
বিভিন্ন
প্রকল্পের
উদ্বোধন
করবেন।
প্রসঙ্গত
উল্লেখ্য,
এদিন
বিশেষ
ট্রেনে
সকাল
৯টা
নাগাদ
লখনউ
ছাড়েন
তিনি।
সকাল
সাড়ে
এগারোটা
নাগাদ
পৌঁছান
অযোধ্যায়।
"রামলালার"
জন্মভূমি
পরিদর্শন
ছাড়াও
রাষ্ট্রপতি
কোবিন্দের
হনুমান
গড়ি
মন্দির
(হনুমানগাড়ি)
এবং
কনক
যাওয়ার
একটি
কর্মসূচিও
রয়েছে।
প্রার্থনাও
করবেন
একাধিক
ভবনে।
কী কী কর্মসূচি রয়েছে রাষ্ট্রপতির
আরও সহজ ভাবে বললে রাষ্ট্রপতির অযোধ্যা যাত্রার গোটাটাই রয়েছে একাধিক কর্মসূচিতে ঠাসা। এদিনই রাম কথা পার্কে রামায়ণ কনক্লেভ উদ্বোধন করবেন তিনি। পাশাপাশি একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেও অংশ নেবেন। এরপরেই রাম জন্মভূমি এবং হনুমানগড়ি পরিদর্শন করবেন তিনি। পাশাপাশি বর্তমানে নির্মাণাধীন রাম মন্দিরের খোঁজখবরও নেবেন তিনি।, তারপরেই দুপুর ৩টে ৫০ নাগাদ অযোধ্যা ছাড়ার কথা রয়েছে তাঁর। ওই ট্রেনেই রওনা হবেন লখনউয়ের উদ্দেশ্যে। সন্ধ্যের আগেই ওই ট্রেন পৌঁছাবে লখনৌয়ের চারবাগ স্টেশনে।
অবরুদ্ধ রাস্তা, চরম ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ
এদিকে রাষ্ট্রপতির মতো ভিভিআইপি-র সুরক্ষা দিতে সুরক্ষা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে। রেলওয়ে সুরক্ষা বাহিনী বা আরপিএফ এবং সরকারী রেলওয়ে পুলিশকেও একাধিক বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে উত্তর রেলওয়ে লখনউ বিভাগের কর্মকর্তাদেরও কাঁধেও পড়েছে নজরদারির দায়িত্ব। গোটা এলাকাতেই জারি রয়েছে হাই অ্যালার্ট। এদিকে সকালে রাষ্ট্রপতির চারবাগ সফরের সময়, ওই এলাকার রাস্তাগুলি কিছু সময়ের জন্য বন্ধ ছিল। যে কারণে আবার চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছিল সাধারণ মানুষকে।
রাষ্ট্রপতির সফর ঘিরে জলঘোলা
এদিকে চারদিনের সফর চলাকালীন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বরাবরই সরকারি কর্তাব্যক্তি ছাড়াও সর্বদাই দেখা মিলছে বিজেপর শীর্ষ স্থানীয় নেতৃত্বকে। যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিরোধীরা।আসন্ন বিদানসভা নির্বাচনে অখিলেশ শিবিরের দাবি ভোটবাক্সে ফায়দা তুলতেই রাষ্ট্রপতির সফরকে কাজে লাগাতে চাইছে বিজেপি। এমনকী রাষ্ট্রপতির আচরণ নিয়েও চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানানো হয় সমাজবাদী পার্টির তরফে।