২১ শতকে এসেও কষ্টের বোঝা বইতে হল এই ব্যক্তিকে!
উত্তরপ্রদেশের কৌশাম্বিতে এক ব্যক্তিকে নিজের ভাইঝির মরদেহ সাইকেলে বহন করতে হল। কারণ সরকারি হাসপাতাল দেহ বহনের জন্য প্রয়োজনীয় অ্যাম্বুল্যান্স জোগাড় করে দেয়নি।
ওড়িশার দানা মাঝির গল্প এতদিনে সকলেরই জানা হয়ে গিয়েছে। দরিদ্র মানুষটির স্ত্রী হাসপাতালে দেহত্যাগ করেন। সেই দেহ বাড়ি পর্যন্ত গাড়িতে পৌঁছনোর টাকা ছিল না পকেটে। হাসপাতালও অ্যাম্বুল্যান্স দিয়ে সাহায্য করেনি। অগত্যা কাঁধে স্ত্রীর মরদেহ চাপিয়ে হাঁটা লাগাতে হয়েছিল দানা মাঝিকে।
এই ঘটনার পর সারা দেশে এমন বহু ঘটনা সামনে এসেছে। ওড়িশাতেই তারপর অনেকে এভাবে স্বজনের দেহ কাঁধে বয়েছেন। এবার এই একই ঘটনা ঘটল উত্তরপ্রদেশের কৌশাম্বিতে। এক ব্যক্তিকে নিজের ভাইঝির দেহ সাইকেলে বহন করতে হল। কারণ সরকারি হাসপাতাল দেহ বহনের জন্য প্রয়োজনীয় অ্যাম্বুল্যান্স জোগাড় করে দেয়নি।
জানা গিয়েছে, মৃত নাবালিকার নাম পুনম। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে সোমবার সকালে সে হাসপাতালে দেহত্যাগ করে। অ্যাম্বুল্যান্সের কথা বললে অনেক টাকা চাওয়া হয় যা তাঁরা দিতে পারেননি। অগত্যা সাইকেলে কাঁধের উপরে ভাইঝি পুনমের দেহ চাপিয়ে বাড়ি পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার রাস্তা আনতে হল হতভাগ্য ব্রিজমোহন নামে ওই ব্যক্তিকে।
নিহত পুনম নামে নাবালিকার পরিবার অত্যন্ত দরিদ্র। গত শনিবার থেকে সে অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিল। চিকিৎসা করানোর পর সামর্থও ছিল না। তারপর দেহ নিয়ে যেতে অ্যাম্বুল্যান্সের খরচ চাওয়ায় তা আর দিতে পারেনি পুনমের পরিবার। এই ঘটনার পর জেলা প্রশাসনরে পক্ষ থেকে অ্যাম্বুল্যান্স ড্রাইভার ও চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত মে মাসের ২০ তারিখে একইভাবে এক ব্যক্তিকে স্ত্রীর দেহ অ্যাম্বুল্যান্স না পেয়ে স্ট্রেচারে করে আনতে হয়। পরে পরিস্থিতির গভীরতা বুঝে বিতর্ক এড়াতে চিকিৎসকেরাই অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করে দেন।