করোনা লকডাউন : পিছিয়ে গেল ভারতে রাফায়েলের আগমন!
সুপ্রিমকোর্টে গিয়েও রাফায়েল নিয়ে কোনও রকম যুৎ করতে পারেননি বিরোধীরা। রাফায়েল নিয়ে যেই নেতা সব থেকে বেশি সরব ছিলেন রাহুল গান্ধী। তবে শেষ পর্যন্ত এই বিষয়ে রাহুল সুপ্রিমকোর্টের নিজের যুক্তি ও দাবি প্রমাণ করেত ব্যর্থ হন। এরপর ভারত দাসোঁ থেকে প্রথম রাফায়েল যুদ্ধবিমানটিও গ্রহণ করে। তবে এবার রাফায়েলের উৎপাদান বন্ধ করল ফ্রান্সের সংস্থা দাঁসো।
ফ্রান্সে করোনা প্রকোপে মারা গিয়েছে ১৪ হাজার
ফ্রান্সে ইতিমধ্যেই করোনা প্রকোপে মারা গিয়েছে ১৪ হাজার ৩৯৩ জন মানুষ। আক্রান্ত ১ লক্ষ ৩২ হাজারেরও বেশি। এই পরিস্থিতিতে সারা দেশে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে সেখানে। সংক্রমণ রুখতে একাধিক স্পোর্টস ইভেন্ট বাতিল হয়েছে। ফুটবল লিগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে দাসোঁ নিজেদের কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়।
মার্চে রাফায়েল তৈরির কাজ বন্ধ হয়
বায়ুসেনার তরফে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক এই বিষয়ে বলেন, 'মার্চের মাঝামাঝি সময়ে যখন রাফায়েল তৈরির কাজ বন্ধ করা হয়, তখনও প্রায় ৮-৯ মাসের ট্রেনিং বাকি ছিল। সেই বিমানগুলিকে ভারতে নিয়ে আসার কথা ছিল। বিমানের বেশ কিছু যন্ত্রাংশেরও পরীক্ষণ বাকি ছিল। আম্বালাতে এই সব বিমান এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহতেই পৌঁছানোর কথা ছিল। তবে ভারতে চলমান লকডাউন ও উড়ানের উপর নিষেধাজ্ঞার জেরে তা সম্ভব হচ্ছে না।'
শীর্ষ আদালতে রাফায়েল মামলা
এদিকে এর আগে গতবছর নভেম্বরে সর্বসম্মতিক্রমে শীর্ষ আদালতের তিন বিচারপতির বেঞ্চ রাফায়েল বিষয়ক তদন্তের দাবির মামলাকে খারিজ করে দেয়। প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, কেএম জোসেফ ছাড়াও বেঞ্চে ছিলেন এসকে কউল। অবশ্য নিজের রায়তে বিচারপতি জোসেফ তদন্তের পক্ষে লেখেন, 'পিটিশনারদের দায়ের করা মামলা খারিজ হলেও এই বিষয়ে এফআইআর করা যেতে পারে।'
রাফায়েল নিয়ে মোদী সরকারকে ক্লিনচিট
২০১৮-র ১৪ ডিসেম্বরের রায়ে সুপ্রিম কোর্ট কার্যত ক্লিনচিট দিয়েছিল মোদী সরকারকে। ফ্রান্স থেকে ৩৬ টি রাফালে কেনা নিয়ে তদন্তের আবেদন জানানো হয়েছিল। তবে গত বছরের ১৪ নভেম্বরের রায়ে ফের একবার মোদী সরকারকে ক্লিনচিট দেওয়া হয়।
রাফায়েলের ইঞ্জিন তৈরি হয়েছে নাগপুরে
প্রসঙ্গত, অনিল আম্বানির রিলায়েন্স ডিফেন্স এবং ফরাসি সংস্থা দাসোঁ এভিয়েশনের যৌথ উদ্যোগে তৈরি হচ্ছে এই বিমান। এর বেশ কয়েকটি যন্ত্রাংশ যেমন, বিমানের দরজা ও উন্নত প্রযুক্তির ইঞ্জিনও তৈরি হয়েছে নাগপুরে।