একের পর এক রাজ্যে দুই ভোটে ভিন্ন কৌশল জনতার, ২০২১-এর আগে 'নিশ্চিন্তে' তৃণমূলনেত্রী মমতা
লোকসভা নির্বাচনে মোদী ঝড়। কিন্তু সেই সব জায়গাতেই বিধানসভা নির্বাচনে বড় ধাক্কা বিজেপির। তা সে রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশই হোক কিংবা দিল্লি।
লোকসভা নির্বাচনে মোদী ঝড়। কিন্তু সেই সব জায়গাতেই বিধানসভা নির্বাচনে বড় ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। তা সে রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশই হোক কিংবা দিল্লি। আঞ্চলিক দলগুলির ক্ষেত্রে তাদের লোকসভায় ধাক্কা লাগলেও, বিধানসভায় সাড়া জাগানো ফল। দিল্লি হোক বা রাজস্থান, জনতার এই মুড নিয়ে বিধানসভা নির্বাচনের আগে খানিকটা হলেও স্বস্তিতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পথ দেখিয়েছে দিল্লি
২০১৫-র বিধানসভা নির্বাচনে দিল্লিতে বিজেপিকে একেবার সাফাই করে দিয়েছিল আপ। ৭০টির মধ্যে ৬৭ টি আসন দখল করেছিল তারা। কিন্তু ২০১৯-র লোকসভা নির্বাচনে গিয়ে তারা দিল্লির সাতটি আসনের একটিও দখল করতে পারেনি। বরং সেই ফলাফলের নিরিখে ৪৭ টি বিধানসভা আসনে পিছিয়ে ছিল তারা। ২০২০-র বিধানসভা নির্বাচনে সেখানে থেকেই এখনও পর্যন্ত প্রাপ্ত ফলাফলের নিরিখে ৫২ টি আসনে এগিয়ে রেখেছে। ফলে দিল্লির মানুষ দুই ভোটে দুটি দলকে বেছে নিচ্ছে, এটা পরিষ্কার।
গুজরাতে বিধানসভা ধাক্কা লেগেছিল বিজেপির
২০১৪, এবং ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে মোদী-অমিত শাহে রাজ্য গুজরাতে বিজেপি ভাল ফল করলেও, ২০১৭-র বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে কিছুটা ধাক্কা দিতে পেরেছিল কংগ্রেস।
বিধানসভায় বিরোধীদের পাশে ছিল রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে ২০১৮-র ডিসেম্বরে হিন্দি বলয়ের একটা বড় জায়গায় বিধানসভা নির্বাচন হয়। রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় ক্ষমতা হারায় বিজেপি। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনে তিন রাজ্যেই ক্ষমতা ধরে রাখতে পারেনি কংগ্রেস। রাজস্থানে বিধানসভায় ৩৮.৭৭ শতাংশ ভোট পাওয়া বিজেপি লোকসভায় পায় ৫৯.০৭ শতাংশ ভোট। মধ্যপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচনে প্রায় ৪১ শতাংশ ভোট পাওয়া বিজেপি লোকসভায় পায় ৫৮.৫৪ শতাংশ ভোট। ছত্তিশগড়ে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রাপ্ত ভোট ছিল ৪৭ লক্ষ। লোকসভা নির্বাচনে তার বেড়ে হয় ৬৯ লক্ষ।
একইসঙ্গে নির্বাচন হলেও একই চিত্র
বাংলার পড়শি রাজ্য ওড়িশাতেও একই চিত্র। একইসঙ্গে নির্বাচন হলেও জনগণ লোকসভায় পছন্দ করেছে বিজেপিকে আর বিধানসভায় বিজেডিকে। লোকসভায় ২০ টি আসনের মধ্যে বিজেপি পেয়েছিল ৮ টি আসন। কিন্তু বিধানসভায় বিজেডি সেখানে ১১২ টি আসন পায়, সেখানে বিজেপি পায় মাত্র ২৩ টি আসন।
হরিয়ানা, মহারাষ্ট্রেও একই ফল
বিজেপি
বিরোধী
আঞ্চলিক
দলগুলি
বিধানসভার
নির্বাচনে
স্থানীয়
মানুষের
সাহায্য
পাচ্ছে।
নির্বাচনে
বিজেপির
জাতীয়
ইস্যুগুলিকে
স্থানীয়
ইস্যু
দিয়ে
মোকাবিলা
করছে।
যেমনটি
হয়েছে
হরিয়ানায়
জননায়ক
জনতা
পার্টির
ক্ষেত্রে।
এবারের
নির্বাচনে
তারাই
কিং
মেকার
হয়ে
উঠেছিল।
বিজেপি
নির্দিষ্ট
সংখ্যায়
পৌঁছতে
ব্যর্থ
হওয়ায়
জেজেপির
সাহায্য
নিতে
হয়।
মহারাষ্ট্রে
বিজেপি
ছিল
সংখ্যাগরিষ্ঠ
দল।
কিন্তু
স্থানীয়
ইস্যু
এবং
আঞ্চলিক
দল
বিজেপির
জয়
চুরি
করে
নেয়।
একই
ঘটনা
ঘটে
ঝাড়খণ্ডের
ক্ষেত্রেও।
হেমন্ত
সোরেনের
নেতৃত্বাধীন
ঝাড়খণ্ড
মুক্তি
মোর্চা
নির্বাচনে
জয়লাভ
করে।
বিজেপি
আটকে
যায়
২৫
টি
আসন
নিয়ে।
মুখের অভাব পড়ছে ভোটে
জাতীয় পর্যায়ে যেখানে নরেন্দ্র মোদীকে সামনে রেখে বাজি মাত করছে বিজেপি, সেখানে তাঁর বিপরীতে সেরকম কোনও মুখ নেই। রাজ্যগুলির ক্ষেত্রে বিজেপির স্থানীয় ভাল মুখের অভাব। বলছেন ভোট বিশেষজ্ঞরা।