দিল্লি হিংসার পিছনে 'আন্তর্জাতিক' শক্তি! রাজধানীকে অশান্ত করার নেপথ্যে ছিল জাকির নায়েক, কংগ্রেসও
ফেব্রুয়ারিতে হওয়া দিল্লির হিংসায় যেমন মারা গিয়েছেন এক পুলিশ কনস্টেবল ও আইবি অফিসার, তেমনই মৃতদের মধ্যে রয়েছেন সদ্য বিবাহিত এক ব্যক্তি, একজন ডিজে, এক ব্যবসায়ী, একজন বাবা যে তাঁর সন্তানদের জন্য টফি কিনতে বেরিয়েছিলেন, একজন ৮৫ বছরের বৃদ্ধা। রেহাই পাননি সাংবাদিকরাও। দিল্লি হিংসা চলাকালীন অশান্ত এলাকায় খবর সংগ্রহে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের রোষের সামনে পড়েছেন সাংবাদিকরা। এই হিংসার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ছিল অন্তত ৫০।
হিংসায় ৪৩৬টি অভিযোগ দায়ের
এহেন হিংসায় ৪৩৬টিরও বেশি অভিযোগ দায়ের হয়েছে হিংসা সম্পর্কিত ঘটনায়। এই মামলাগুলির মধ্যে ৪৫টি হল বেআইনি ভাবে অস্ত্র রাখার দায়ে। তবে এখন পরিস্থিতি সম্পূর্ণ শান্ত আছে বলে দাবি করা হয়। এই হিংসার ঘটনায় মৃতের সংখ্যা অন্তত ৫০। জখম হয়েছেন আরও ৩৫০ জন। দিল্লিতে হিংসা ছড়ানোর ঘটনায় যু্ক্ত থাকার অভিযোগে ১৪০০ জনকে গ্রেফতার বা আটক করা হয়েছিল।
দিল্লি হিংসার নেপথ্যে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ
ধৃত ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে জানা গিয়েছিল কীভাবে এই হিংসার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। জানা গিয়েছে ২৩ ও ২৪ ফেব্রুয়ারি দিল্লির উত্তর-পূর্ব এলাকায় অনেক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করা হয়েছিল। সেখানে পুরোনো অনেক ভিডিও ফরোয়ার্ড করা হয় যেগুলি আদতে দিল্লি হিংসার সঙ্গে যুক্ত নয়। পুরোনো ভিডিও দেখিয়ে সেই গ্রুপগুলিতে ক্রমাগত উস্কানিমূলক বার্তা ছড়ানো হয়।
নেপথ্যে আন্তর্জাতিক চক্র
এদিকে আরও নতুন সব তথ্য উঠে এল জিজ্ঞাসাবাদ থেকে। খালিদ সাইফি, প্রাথমিকভাবে যাকে দিল্লি দাঙ্গায় যুক্ত থাকার জন্য গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তিনি জাকির নায়েকের সঙ্গে মালয়েশিয়ায় দেখা করেছিলেন। পাশাপাশি এও জানা যাচ্ছে, এই সাইফ আদতে ওমর খালিদ এবং তাহির হুসেনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের স্ট্যাটাস রিপোর্ট অনুযায়ী, সৌদি আরব থেকে আর্থিক মদদ পৌঁছে গেছে সিঙ্গাপুরের এক এনআরআই ব্যক্তির কাছে। খালিদ সাইফির অ্যাকাউণ্টে দিল্লি দাঙ্গার জন্য সিঙ্গাপুর থেকে টাকা এসেছে। টাকা ভারতের একটি এনজিওতে পাঠানো হয়েছে যা পরিচালনা করেন ওমর খালিদ।
তদন্তে উঠে এসেছে কংগ্রেস কাউন্সিলরের নাম
তদন্তে আরো সামনে এসেছে, প্রাক্তন কংগ্রেস মিউনিসিপ্যাল কাউন্সিলর ইসরাত জাহান গাজিয়াবাদের সন্দেহজনক জায়গা থেকে আর্থিক সহায়তা পেয়েছেন, পাশাপাশি মহারাষ্ট্রের কিছু আত্মীয়রাও তাকে সাহায্য করেছেন বলে জানা গিয়েছে। এর আগে উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে হিংসা চলাকালীন চাঁদবাগ এলাকায় আইবি আধিকারিক অঙ্কিত শর্মার হত্যাকাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন আরও এক বিরোধী দল আপ-এর কাউন্সিলর তাহির হুসেনকে। পরে তাহিরকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
উমর খালিদ ও খালিদ সইফের যোগ
সেই তাহিরকেই জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছিল, দিল্লি হিংশার ছক কষা হয়েছিল জানুয়ারিতেই। অভিযুক্ত আপ নেতা তাহির হুসেনের চার্জশিটে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য উঠে এসেছে। জানা গিয়েছে, একমাস আগে, ৮ জানুয়ারি তাহির দেখা করেছিলেন জেএনইউয়ের দুই প্রাক্তন ছাত্রনেতা উমর খালিদ ও খালিদ সইফির সঙ্গে। ৮ জানুয়ারি উমর খালিদ তাহিরকে বলেছিলেন, 'ট্রাম্পের সফরের সময় দিল্লিতে দাঙ্গা হবে। সেজন্য প্রস্তুত থাকুন।'
চিনের 'কাশ্মীর প্ল্যান'-এর জেরে হুরিয়তে চিড়! আইএসআই-বেজিং জোটের 'ড্রিম প্রোজেক্টে' ধাক্কা?