হাথরাসে গণধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের খবরে সেন্সরশিপ! গর্জে উঠল দিল্লি ইউনিয়ন অফ জার্নালিস্ট
হাথরাস-কাণ্ডের সমস্ত প্রতিবেদন আটকানোর অপচেষ্টার বিরুদ্ধে গর্জে উঠল দিল্লি ইউনিয়ন অফ জার্নালিস্ট সংগঠন। তারা এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করে নিন্দা জানিয়েছে প্রশাসনের প্রতি।
হাথরাস-কাণ্ডের সমস্ত প্রতিবেদন আটকানোর অপচেষ্টার বিরুদ্ধে গর্জে উঠল দিল্লি ইউনিয়ন অফ জার্নালিস্ট সংগঠন। তারা এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করে নিন্দা জানিয়েছে প্রশাসনের প্রতি। ধর্ষণের শিকার পরিবারের ফোন সিজ করা হয়েছে এবং কাউকে তাদের সাথে দেখা করতে গ্রামে যেতে দেওয়া হচ্ছে না।
সাংবাদিক ও চিত্র সাংবাদিকরা গ্রামে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের প্রবেশ পথ বন্ধ করে দিচ্ছে। টিএমসির সংসদ সদস্য ডেরেক ও'ব্রায়ান, কাকলি ঘোষদস্তিদার এবং অন্যান্য নেতারা গ্রামে প্রবেশের চেষ্টা করার সময় পুলিশ তাঁদের পথ আটকায়। আগের দিন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে পুলিশ অফিসিয়ালরা মাটিতে পর্যন্ত ফেলে দেয়। ভীম সেনা নেতা চন্দ্রশেখর আজাদকেও হাথরাতে বাধা দেওয়া হয়েছিল।
ফরেনসিক রিপোর্ট ধর্ষণের ইঙ্গিত দেয় না। তবে ধর্ষণ আইনকে আজ প্রশ্নের সামনে দাঁড় করিয়েছে। উদ্ভুত পরিস্থিতি সন্দেহকেও বাড়িয়ে তুলেছে। তাড়াহুড়ো করে মধ্যরাতে দেহ শ্মশানে নিয়ে গিয়ে অন্ত্যেষ্টি করে দেওয়া হয়। দ্বিতীয় ময়না তদন্ত এই বিষয়ে সমস্ত সন্দেহ দূর করতে পারত।
দিল্লি ইউনিয়ন অফ জার্নালিস্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছ, নিন্দনীয় এই ঘটনায় আমরা আমাদের শোক প্রকাশ করছি এবং নির্বিচার সেন্সরশিপে উত্তরপ্রদেশ সরকারের ভূমিকাও প্রশ্ন উত্থাপন করেছে। সরকার কী লুকিয়ে রাখতে চাইছে রাজনৈতিক নেতা, সাংবাদিকদের আটকে। সরকার কাকে রক্ষা করতে চাইছে না নিয়ে প্রশ্ন উঠতে বাধ্য।