ডিসেম্বরে রেকর্ড তাপমাত্রার পতন দিল্লিতে, ২ ডিগ্রিতে নামল চুরুর তাপমাত্রা
ডিসেম্বরে রেকর্ড তাপমাত্রার পতন দিল্লিতে, ২ ডিগ্রিতে নামল চুরুর তাপমাত্রা
ডিসেম্বর মাসে এমন ঠান্ডা রাজধানী দিল্লি দেখেনি। গোটা রাজধানী জুড়ে চলছে শৈত্য প্রবাহ। দিল্লিতে তাপমাত্রা নেমে গিয়েছে ৪.৬ ডিগ্রিতে। হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশের একাধিক জেলার তাপমাত্রা হিমাঙ্কের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। তীব্র শৈত্য প্রবাহে কাঁপছে গোটা উত্তর ভারত। উত্তর ভারতের একাধিক রাজ্য রাজস্থান, গুজরাত,পাঞ্জাব, হরিয়ানা, দিল্লি, উত্তর প্রদেশের একধিক জায়গার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে নেমে গিয়েছে।
কনকনে ঠান্ডায় কাঁপছে দিল্লি
ডিসেম্বরের মাঝামাঝিই এমন তাপমাত্রার পতন আগে দেখেননি দিল্লিবাসী। এক ধাক্কায় তাপমাত্রা নেমে গিয়েছে ৪ ডিগ্রিতে। রবিবার দিল্লির তাপমাত্রা ছিল ৪.৬ িডগ্রি সেলসিয়াস। শৈত্য প্রবাহ তীব্র হতে শুরু করেছে উত্তর ভারতের। ঘণ্টায় ১০ থেকে ২০ কিলোমিটার বেগে বইছে শৈত্য প্রবাহ। বেলা বাড়তেই শৈত্য প্রবাহের গতিবেগ বাড়তে শুরু করেছে। ২৫ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে বইছে শৈত্য প্রবাহ। কাঁপছে রাজধানী দিল্লি। সূর্যের তাপও তেমন বাড়ছে না।
চুরুর তাপমাত্রায় রেকর্ড পতন
রাজধানী দিল্লিতে কাঁপছেই। তারমধ্যে চুরুর তাপমাত্রা ২.৫ ডিগ্রিতে নেমে গিয়েছে। গঙ্গানগরে তাপমাত্রা নেমে গিয়েছে ৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। নারনুলের তাপমাত্রা নেমে গিয়েছে ১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। হিসারের তাপমাত্রা নেমে গিয়েছে ২.০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। দিল্লির তাপমাত্রা নেমে গিয়েছে ৪.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। কাজেই কনকনিয়ে ঠান্ডার দাপট বাড়তে শুরু করেছে। কাজেই তাপমাত্রার পারদ যে আরও নামবে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। ডিসেম্বরের শেষ পর্যন্ত উত্তরের রাজ্যগুলিতে এই পারদ পতন জারি থাকবে বলে জানা গিয়েছে। কুয়াশার কারনে দৃশ্যমানতা কমতে শুরু করেছে।
আরও নামবে পারদ
গতকালই আইএমডির পক্ষ থেকে সতর্কতা জারি করা হয়েছে উত্তরাখণ্ড এবং রাজস্থানে। রাজস্থানের পাশাপাশি গুজরাত, উত্তর প্রদেশ, হরিয়ানা, পাঞ্জােবও পারদ পতন শুরু হয়ে গিয়েছে। উত্তরাখণ্ডে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।আর রাজস্থানে জারি করা হয়েছে কমলা সতর্কতা। মরু রাজ্যে এমনিতেই শীতের দাপট বেশি থাকে। গরমের দাপট যেমন বেশি থাকে তেমনই বেশি থাকে শীতের দাপট। এবারও সেই ধারা বজায় থাকবে। তবে এবার একটু তাড়া তাড়িইশীতের কোপ পড়তে শুরি করেছে।
কমছে দৃশ্যমানতা
প্রলব শৈত্য প্রবাহের কারনে সকালের দিকে একাধিক উত্তরের রাজ্যে দৃশ্যমানতা কমতে শুরু করেছে। কারন সকাল থেকে অনকটা সময় পর্যন্ত কুয়াশাচ্ছন্ন থাকছে আকাশ। সেকারনে সমস্যা হচ্ছে উড়ান এবং রেল পরিষেবায়। কুয়াশার কারনে দেখা যাচ্ছে না দূরের কিছু। সেকারনে দেরিতে চলছে উড়ান এবং ট্রেন। সড়ক পথেও দৃশ্যমানতা কম থাকায় ধীর গতিতে চলছে যান বাহন। ইতিমধ্যেই লাদাখ, হিমাচল প্রদেশ, জম্মু-কাশ্মীরের একাধিক জায়গায় তুষারপাত শুরু হয়ে গিয়েছে।