৪৪ ডিগ্রিতে পৌঁছে যাবে পারদ, শুক্রবার থেকেই তাপপ্রবাহের সতর্কতা, নতুন গাইডলাইন জারি করল রাজ্য সরকার
৪৪ ডিগ্রিতে পৌঁছে যাবে পারদ, শুক্রবার থেকেই তাপপ্রবাহের সতর্কতা, নতুন গাইডলাইন জারি করল রাজ্য সরকার
স্বস্তির আবহাওয়া আর বেশিদিন স্থায়ী হবে না। িদল্লিতে ফের তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে আইএমডি। দিল্লির পাশাপাশি রাজস্থানেও তাপ প্রবাহ চলবে বলে জানানো হয়েছে। তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যাবে এমনই শঙ্কার কথা শুনিয়েছে আবহাওয়া বিদরা। এই পরিস্থিতিতে একাধিক গাইডাইন জারি করেছে দিল্লি এবং রাজস্থান সরকার। তাপপ্রবাহের মোকাবিলায় রাজ্যবাসী কী কী করবেন তার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
ফের তাপপ্রবাহের সতর্কতা
মে মাসের প্রথম থেকেই পশ্চিম ভারত তাপ প্রবাহের পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেয়েছিল। প্রায় সব রাজ্যেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হয়েছে। তাক জেরে গ্রীষ্মের প্রবল দহন থেকে সাময়িক মুক্তি পেয়েছিলেন পশ্চিন ভারতের রাজ্যগুলির বাসিন্দারা। কিন্তু সেই আবহায়া আর বেশিদিন স্থায়ী থাকবে না। ফের শুরু হবে তাপপ্রবাহ এমনই সতর্কতার কথা শুনিয়েছে আবহায়া দফতর। রাজস্থান এবং দিল্লিতে ফের তাপ প্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি পার করে যাবে বলে জানিয়েছে আইএমডি।
স্কুল নিয়ে নির্দেশিকা
মে মাস অধিকাংশ রাজ্যেই গরমের দাপট বাড়ে। তবে এবার মার্চ মাস থেকেই তাপ প্রবাহ চলছে উত্তর-পশ্চিম ভারতের একাধিক রাজ্যে। মার্চ মাসেই তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি পার করে গিয়েছিল। শুক্রবার থেকেই রাজস্থান এবং দিল্লির একাধিক জায়গায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে আইএমডি। এই পরিস্থিতিতে কীভাবে স্কুল হবে তা নিয়ে নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য সরকার। বিশেষ করে পড়ুয়াদের কথা ভেবেই রাজ্যের স্কুলগুলি মর্নিং করে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সকাল ৭টা থেকে স্কুল শুরু করতে বলা হয়েছে। গরমের মধ্যে পড়ুয়ারা যাতে অসুস্থ হয়ে না পড়ে সেকারণে কমিয়ে দিতে বলা হয়েছে পঠন-পাঠনের সময়। অর্থাৎ দুপুর পর্যন্ত স্কুল না করার কথা বলা হয়েছে।
হালকা পোশাক পরার নির্দেশ
গরমের মধ্যে স্কুলের পোশাক পরে হাঁসফাস করে শরীর। স্কুলে ছেেলমেয়েদের পাঠানোর আগে বেশ কিছ জিনিস মাথায় রাখতে হবে। তার গাইডলাইন বেঁধে দিেয়ছে রাজ্য সরকার। স্কুলের পোশাক হাল্কা এবং সুতির যেন হয়। তাঁদের হালকা সুতির পোশাক পরে স্কুলে আসার অনুমতি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে চামরা বা রেকসিনের জুতোর বদলে ক্যানভাসের জুতো পরতে দেওয়ার কথা স্কুল গুলিকে বলা হয়েছে। শরীরে যাতে সরাসরি রোদের তাপ না লাগে সেকারণে ফুল হাতা পোশাক পরার কথা বলা হয়েছে। স্কুলে ফুলহাতা পোশাক পরে আসতে দেওয়া হোক পড়ুয়াদের।
গাড়িতে স্কুলে যাওয়ার পরামর্শ
রোদ-গরম থেকে বাঁচতে পড়ুয়াদের হেঁটে বা সাইকেলে স্কুলে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে বলা হয়েছে যাঁরা স্কুলবাসে যাতায়াত করে তাঁরা যেন গাড়িটা ছায়া দাঁড় করায় যাতে গাড়িতে সফরের সময় পড়ুয়াদের গরম না লাগে। বাড়ি থেকে অবশ্যই জলের বোতল দেওয়া হয় সেকথা মাথায় রাখতে হবে অভিভাবকদের। টিফিনেও হাল্কা খাবার নিয়ে আসার কথা বলা হয়েছে। স্কুল গুলিতে গরম মোকাবিলায় পর্যাপ্ত ওআরএস রাখতে বলা হয়েছে। যাতে কোনও পড়ুয়া অসুস্থ হয়ে পড়লে সঙ্গে সঙ্গে যাতে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা করা যায়। ক্লাসরুম গুলিকে ঠান্ডা রাখতে খসখস এবং বাঁশের পর্দা ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে স্কুলগুলিকে। প্রয়োজনে কুলার ব্যবহার করতেও বলা হয়েছে।