মেলেনি সুরাহা, সপ্তমে চড়ছে আন্দোলনের সুর! কৃষক রোষ সামাল দিতে নাজেহাল কেন্দ্র
কৃষক আন্দোলনের সুর চড়ছে সপ্তমে। আইন প্রত্যাহারের দাবিতে অনড় কৃষকদের আলোচনার টেবিলে বসার প্রস্তাব দিয়েও শআন্ত করতে পারছে না কেন্দ্র। এই পরিস্থিতিতে এখনও বন্ধ রয়েছে দিল্লির উত্তরে অবস্থিত সিঙ্ঘু ও টিকরি সীমান্ত। এই অবস্থায় পরিস্থিতিতে সামাল দিতে নাজেহাল অবস্থা হচ্ছে দিল্লি পুলিশের। এর জেরে উত্তর ভারতের সঙ্গে প্রায় বিচ্ছিন্ন হওয়ার পথে দিল্লি।

৩২টি কৃষি সংগঠন কে আলোচনায় বসার আহ্বান
দেশের ৩২টি কৃষি সংগঠন কে আলোচনায় বসার জন্য প্রস্তাব দিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। তবে কৃষকদের সাফ বক্তব্য, ৩২ টি কৃষক সংগঠন নয়, ডাকতে হলে ডাকতে হবে ৫০০ টি কৃষি সংগঠনকে। এই পরিস্থিতিতে দিল্লি-হরিয়ানা সিঙ্ঘু সীমানায় কৃষকদের অবস্থান বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। কড়া নিরাপত্তায় গোটা এলাকা মুড়ে ফেলা হয়েছে।

কৃষি আইনের বিরোধিতায় কৃষকদের বিক্ষোভ জারি
কৃষি আইনের বিরোধিতায় কৃষকদের বিক্ষোভ জারি রয়েছে। মঙ্গলবারে ষষ্ঠদিনে পড়ছে ভারতের কৃষকদের আন্দোলন। তাঁরা জানিয়ে দিয়েছেন, বিনা শর্তেই তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে কেন্দ্রকে। নির্দিষ্ট জায়গায় গিয়ে আন্দোলনের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ার পর ২৯ নভেম্বরে জে পি নাড্ডার বাড়িতে বৈঠকে বসেছিলেন অমিত শাহ, রাজনাথ সিং ও নরেন্দ্র সিং তোমার-রা। এই পরিস্থিতিতে গতকাল কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার জানিয়ে দেন, ১ ডিসেম্বর কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চায় কেন্দ্র।

প্রতিবাদ-বিক্ষোভ বন্ধ করার আবেদন
গতকাল এই ঘোষণার সময় কৃষিমন্ত্রী জানান , 'আমরা ১৩ নভেম্বর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, ৩ ডিসেম্বর আলোচনায় বসব। কিন্তু , তারপরেও কৃষকদের বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। একে ঠান্ডা, তার উপর করোনা ভাইরাসের প্রকোপ। এই দুই কারণে আলোচনার জন্য কৃষি সংগঠগুলিকে আজ দুপুর ৩টেয় বিজ্ঞান ভবনে আহ্বান জানাচ্ছি।' পাশাপাশি তিনি প্রতিবাদ-বিক্ষোভ বন্ধ করে সমস্যার সমাধানের জন্য আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন কৃষকদের।

হাজার হাজার কৃষক সিঙ্ঘু সীমান্ত ও টিকরি সীমান্তে
কৃষি আইনের বিরোধিতায় এখনও হাজার হাজার কৃষক সিঙ্ঘু সীমান্ত ও টিকরি সীমান্তে জমায়েত করেছেন। কৃষকদের বিক্ষোভ চলাকালীন অমিত শাহ জানিয়েছিলেন, সরকার নির্ধারিত স্থানে গিয়ে আন্দোলন করলে কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে কেন্দ্র। কিন্তু তাঁর এই প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছে কৃষক সংগঠনগুলি। এবং তারা বিক্ষোভ জারি রেখেছে।

হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে এক বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়েছে
এদিকে গতকাল হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে এক বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়েছে। প্রচণ্ড ঠান্ডার কারণে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। এই সমস্ত বিষয় পর্যালোচনা করে আলোচনার জন্য আজ কৃষকদের বিজ্ঞান ভবনে আহ্বান জানিয়েছে কেন্দ্র। কেন্দ্রের এই প্রস্তাব নিয়ে আজ সকালে বৈঠকে বসবে কৃষক সংগঠনগুলি। কেন্দ্রের এই প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের সিদ্ধান্ত কী হয়, এখন সেটাই দেখার।
জমি জবরদখল করেছেন ফারুক আবদুল্লা! কাশ্মীরে ব্যাকফুটে গুপকার জোটের রূপকার