হঠাৎ ইস্তফা দিল্লির উপরাজ্যপাল অনিল বাইজলের! 'ব্যক্তিগত' কারণ নিয়ে জল্পনা
দিল্লির উপরাজ্যপাল (lieutenant Governor ) তথা রাজধানীতে কেন্দ্রের প্রতিনিধি অনিল বাইজল (Anil Baijal) ইস্তফা দিয়েছেন। সূত্রের খবর অনুযায়ী তিনি ইস্তফা পত্রে ব্যক্তিগত কারণের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি (president) রামনাথ কোবিন্দের (Ramnath Kovind) কাছে ইন্তফাপত্র জমা দিয়েছেন।

উত্তরসূরি নিয়োগের কথা চলছে
অনিল বাইজল সিভিল সার্ভেন্ট ছিলেন। আগেকার উপরাজ্যপাল নাজিব জং-এর হঠাৎ ইস্তফার পরে ২০১৬-তে দিল্লির উপরাজ্যপালের দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। ইতিমধ্যেই তিনি পাঁচবছরের কার্যকাল পূর্ণ করেছেন। দিল্লির পরবর্তী উপরাজ্যপাল নিয়োগের কথা চলছে বলেও জানা গিয়েছে।

নির্বাচিত সরকারের হাতেই ক্ষমতা
২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্টের আদেশ দেওয়ার আগে পর্যন্ত দিল্লির আম আদমি পার্টির সরকার এবং কেন্দ্র বিজেপি সরকারের মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্বের কেন্দ্র বিন্দু হয়ে উঠেছিলেন এই অনিল বাইজল। দিল্লির ক্ষমতা কার হাতে থাকবে, তা নিয়ে ছিল দ্বন্দ্ব। তবে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, উপরাজ্যপালের স্বাধীন সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা নেই। কেননা প্রকৃত ক্ষমতা নির্বাচতি সরকারের কাছেই থাকবে। অনিল বাইজলের উপস্থিতিতেই এক্ষেত্রে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল কার্যত বড় জয় পান।

যেসব ক্ষমতা উপ রাজ্যপালের হাতে
সুপ্রিম কোর্ট সেই সময় জানিয়েছিল, জমি, পুলিশ, জনসাধারণের শৃঙ্খলা সম্পর্কিত বিষয় ছাড়া উপরাজ্যপালের গাতে সংবিধানের অধীনে স্বাধীন সিদ্ধান্ত নেওযার ক্ষমতা নেই। যদিও তার পরেও অনিল বাইজল সক্রিয়তা দেখিয়েছিলেন। এবং সরকারের পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছিলেন।

এনডিএ ও ইউপিএ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন
১৯৬৯ ব্যাচের আইএএস অনিল বাইজল অটল বিহারী বাজপেয়ীর প্রধানমন্ত্রী থাকার সময়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এছাড়াও তিনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দায়িত্বও সামলেছেন।
তবে ইউপিএ জামানায় তিনি ৬০ কোটি টাকার জওহরলাল নেহরু জাতীয় শহর পুনর্নবীকরণ মিশনের তদারকির দায়িত্বে ছিলেন। এছাড়াও তিনি দিল্লির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের প্রধানের দায়িত্বও পালন করেছিলেন।
তিনি শেষ কয়েক বছর বিজেপি ঘনিষ্ঠ হিসেবেই পরিচিত হয়ে উঠেছিলেন। ফলে এই মুহূর্তে তাঁকে এনডিএ সরকার বিশেষ কোনও পদ দেয় কিনা এখন সেটাই দেখার।
