আপের ঘরে ইডির হানা, অর্থ তছরূপে গ্রেফতার দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন
আপের ঘরে ইডির হানা, অর্থ তছরূপে গ্রেফতার দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন
দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনকে মানি লন্ডারিং মামলায় গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি। ২০১৬-২০১৬ সালে সতেন্দ্র জৈন যে সমস্ত কোম্পানি সংস্থায় নিয়ন্ত্রণ করতেন, তাদের থেকে হাওয়ালা নেটওয়ার্কের মাধ্যমে প্রায় ৪.৮১ কোটি টাকা তছরূপ করেন বলে অভিযোগ। সেই অভিযোগেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
কলকাতার অপারেটরদের কাছে নগদ অর্থ স্থানান্তরিত করা হয়েছিল বলে ইডির তদন্তে উঠে এসেছে তথ্য। ইডির আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, সতেন্দ্র জৈনের কোম্পানিগুলি ওই টাকা জমা করছিল জমি কেনার জন্য এবং দিল্লি ও তার আশেপাশে কৃষি জমি কেনার জন্য। মূলত জমি ক্রয়-সংক্রান্ত ঋণ পরিশোধের জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল ওই টাকা।
গ্রেফতারের প্রতিক্রিয়ায় দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিওসদিয়া বলেন, "সত্যেন্দ্র জৈনের বিরুদ্ধে 8 বছর ধরে একটি মিথ্যা মামলা চলছে। এখন পর্যন্ত ইডি তাঁকে বহুবার তলব করেছে। কিছুদিন ধরে ইডি তাঁকে আর কল করছিল না। কারণ জৈনের বিরুদ্ধে তাঁদের কিছুই করার ছিল না। এখন তাঁরা আবার এই তদন্ত শুরু করেছে, কারণ সত্যেন্দ্র জৈন হিমাচল প্রদেশে আম আদমি পার্টির নির্বাচনী ইনচার্জ। সেই কারণেই সতেন্দ্র জৈন মামলা ডাস্টবিন থেকে তুলে আনা হয়েছে।"
মণীশ সিসোদিয়া আরও বলেন, "হিমাচল প্রদেশে বিজেপি খুব খারাপভাবে হারতে চলেছে। সেই কারণেই আজ সত্যেন্দ্র জৈনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যাতে তিনি হিমাচল ভ্রমণ করতে না পারেন। মামলাটি সম্পূর্ণ মিথ্যাভাবে সাজানো। তাই তাঁকে আটকে রাখা যাবে না, কয়েকদিনের মধ্যেই তাঁকে মুক্তি দেওয়া হবে বলে জানান সিসোদিয়া।
ভারতীয় দণ্ডবিধি এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের প্রাসঙ্গিক ধারাগুলির অধীনে সত্যেন্দ্র জৈন এবং অন্যদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো বা সিবিআই দ্বারা নথিভুক্ত একটি এফআইআরের ভিত্তিতে ইডি এই মানি লন্ডারিং মামলার তদন্ত শুরু করে। আর্থিক তদন্ত সংস্থা ইডি জানিয়েছে, সতেন্দ্র জৈন ৪.৮১ কোটি টাকা তছরূপ করেছেন। এই মামলায় প্রমাণ ও নথি সেটাই বলছে।
সম্প্রতি পাঞ্জাব সরকারের প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী আপ নেতা বিজয় সিংলাকে গ্রেফতার করা হয়। দুর্নীতি দমন শাখার পক্ষ থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয় পাঞ্জাবের স্বাস্থ্যমন্ত্রী পদ থেকে বরখাস্ত হওয়ার পরই। দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকলে তাঁকে মন্ত্রী হলেও রেয়াত করা হবে না জানিয়ে বরখাস্ত করেছিলেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানে। তারপর আপ সুপ্রিমো তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানের সিদ্ধান্ত গর্ব অনুভব করে টুইট করেন। তবে দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনের গ্রেফতারির ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়েছে বলে মান্যতা দিতে পারছেন না দিল্লির আপ সরকার। তাঁর এক পিছনে বিজেপি সরকার চক্রান্ত দেখছে।