এটিএম লুঠ করল দারোগা, কোথায় ঘটল এমন ঘটনা!
দিল্লি পুলিশের একসময়ের জাঁদরেল অফিসার হিসাবে পরিচিত আসলুপ খান এখন ডাকাত দলের মাথা হয়ে গিয়েছে। তার তৈরি দলই কেরলে এটিএম ডাকাতির পিছনে রয়েছে বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।
সুকুমার রায়ের লেখায় আমরা 'ছিল বেড়াল হয়ে গেল রুমাল' পড়েছি। খানিকটা সেরকমই এক ঘটনার সাক্ষী হয়েছে দিল্লি পুলিশের তদন্তকারী দল। দিল্লি পুলিশের এক পুলিশ অফিসার গত ছয় মাস ধরে নিখোঁজ ছিলেন। তাঁকে খুঁজতে প্রাণপাত করে ফেলেন সকলে। তবে যখন খোঁজ পাওয়া গেল, তখন আর লজ্জায় মুখ লুকানোর জায়গা খুঁজে পাচ্ছেন না পুলিশ আধিকারিকেরা।
দিল্লি পুলিশের একসময়ের জাঁদরেল অফিসার হিসাবে পরিচিত আসলুপ খান এখন ডাকাত দলের মাথা হয়ে গিয়েছে। তার তৈরি দলই কেরলে এটিএম ডাকাতির পিছনে রয়েছে বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। এছাড়া উত্তরপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু ও কর্ণাটকেও এটিএম ডাকাতির পিছনে আসলুপ খানের দলই রয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
সম্প্রতি কেরল পুলিশের একটি বিশেষ দল ডাকাত দলের এক সদস্যকে দিল্লি থেকে গ্রেফতার করেছে। তার নাম সুরেশ। দিল্লির কস্তুরবা গান্ধী মার্গ থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে কেরলের আলাপুঝা জেলার পুলিশ।
তাকে জেরা করেই আসলুপ খানের নাম উঠে এসেছে। সে আদতে মেওয়াটের বাসিন্দা। দিল্লির আরকে পুরম ইউনিটের ক্রাইম ব্র্যাঞ্চের সদস্য ছিল সে। গত ১৫ ডিসেম্বর একমাসের ছুটি নিয়েছিল খান। ফের আরও একমাসের ছুটি বাড়ায় সে। ব্যস তারপর থেকেই খান বেপাত্তা ছিল।
এখন সে ডাকাতির ঘটনায় জড়িয়ে পড়েছে বলে খবর এসেছে। পুলিশের মতে, খানের তৈরি গ্যাং কেরলের কোঝাকোট্টাম, কাঞ্জিকুজের মতো এলাকায় এটিএমে ডাকাতি করেছে। পুরো ডাকাতদলই কীভাবে সুরক্ষিতভাবে এটিএম থেকে টাকা তুলে নিয়ে আসবে, তা করতে পারদর্শী।
পুলিশ আরও জেনেছে, যে এটিএমে ডাকাতদল হানা দেবে, সেটার কাছাকাছি হোটেলে থেকে আগে গোটা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে নেয় তারা। তারপর সুযোগ বুঝে এটিএম ভেঙে টাকা লুঠ করে পালিয়ে যায়। দলের নেতা ও পুলিশ হিসাবে খান গোটা অপারেশনে নেতৃত্ব দিত। আর এভাবেই পুলিশ থেকে ডাকাত দলের সর্দার হয়ে উঠেছিল সে।